পোস্ট অফিসের গাফিলতিতে ইন্টারভিউ দিতে পারলো না বিপুল

 

জীবননগর ব্যুরো: পোস্ট অফিসের গাফিলতির কারণে চাকরির একটি ইন্টারভিউ দিতে পারলো না জীবননগর উপজেলার কাটাপোল গ্রামের খালিদ আহমেদ বিপুল। চুয়াডাঙ্গা থেকে জীবননগর উপজেলার কাটাপোল গ্রামে তার বাড়িতে ডাকটি পৌঁছুতে লেগেছে ডাকবিভাগের ১৩ দিন! মাত্র ৪০ কিলোমিটার ব্যবধানে বিলি করতে একটি চিঠি ডিজিটাল এ যুগে ডাক বিভাগের ১৩ দিন লাগায় ঘটনাটি জনমনে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। ডাক বিভাগের এ গাফিলতির কারণে বিপুলের চাকরির ইন্টারভিউ দিতে না পারার এ দায়ভার কে নেবে? সংশ্লিষ্ট পোস্টর মাস্টার না ডাক পিয়ন। এ প্রশ্ন সচেতন মহলের।

অভিযোগে জানা যায়, জীবননগর উপজেলার কাটাপোল গ্রামের রায়হান উদ্দিনের ছেলে খালিদ হোসেন বিপুল চুয়াডাঙ্গা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহায়ক কর্মচারী পদে আবেদন করেন। চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে নিয়োগ প্রতিষ্ঠান থেকে গত ৯ আগস্ট ইন্টারভিউ লেটার ইস্যু কের রেজিস্ট্রি ডাকযোগে বিপুলের ঠিকানায় পোস্ট করা হয়। সময় মতো এ ইন্টারভিউ কার্ডটি জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ ইউনিয়নের মাধবপুর পোস্ট অফিসের আসলেও পোস্ট মাস্টার শহিদুল ইসলাম ও ডাক পিয়ন তোতা মিয়া গাফিলতি করে তা সময় মতো ডেলিভারী করেননি বলে অভিযোগ করা হয়।

বিপুল জানান, তিনি এ ইন্টারভিউ কার্ডের জন্য নিয়োমিত পোস্ট অফিসে যোগাযোগ করেন। কিন্তু চিঠি আসেনি বলে তাকে ফেরত দেয়া হয়। গত ১৯ আগস্ট এ পদে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর গত পরশু ২২ আগস্ট চিঠিটি ডেলিভারী করেন পিয়ন তোতা মিয়া। ইন্টারভিউ কার্ড হাতে পেয়ে বিপুল হতাশ হয়ে পড়েন। এ সময় তিনি ডাক পিয়ন তোতা মিয়াকে দেরীতে চিঠি বিলি করার কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, বৃষ্টির কারণে চিঠি বিলি করতে পারেনি। গত কয় দিন ধরে চিঠি পকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। চিঠিতো আমি মেরে দিতে চায়নি। চাইলে কি আজ বিলি করতাম! পিয়নের এমন কথাতে হতভম্ব চাকরি প্রত্যাশি বিপুল। ডাক পিয়নের দায়িত্ব অবহেলার কারণে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে না পারার এ দায়ভার কে নেবে এ প্রশ্ন এলাকাবাসীর।