পেছালো সালমানের মামলার শুনানি

মাথাভাঙ্গা মনিটর: বলিউডি অভিনেতা সালমান খানের ২০০২ সালের হিট অ্যান্ড রান কেসের শুনানি পিছিয়েছে। মুম্বাই হাইকোর্টে এ বিষয়ে বিস্তারিত ট্রায়ালের জন্য তারিখ ২১ জানুয়ারি থেকে পিছিয়ে নেয়া হয়েছে। প্রসিকিউটর জে.ভি কেন্দ্রালকার আদালতে একটি নোটিশ দিয়ে জানিয়েছেন, বিবাদীপক্ষ রাজ্য সরকারের আইন এবং বিচার মন্ত্রণালয়ের কাছে পুনরায় আপিল করার অনুমতি চেয়ে একটি চিঠি লিখেছেন। এখনও পর্যন্ত মন্ত্রণালয় থেকে কোনো উত্তর পাননি সালমান। আর তাই তার উকিল শ্রীকান্ত শিভাদে প্রদত্ত তারিখ স্থগিত করে, মামলাটি গোড়া থেকে যাচাই করার জন্য একটি নতুন তারিখের আবেদন করেন। বিচারক ডি ডব্লিউ দেশপান্ডে, শ্রীকান্তের আবেদনের সাপেক্ষে ২১ জানুয়ারির তারিখ স্থগিত করেন। ২০০২ সালের রাতের দুর্ঘটনার কারণে ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর, সাক্ষীদের সাক্ষ্য অনুসারে সালমানের বিরুদ্ধে যে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে, তার বিপরীতে তাকে কী পরিমাণ শাস্তি দেয়া হবে তা নির্ধারণের জন্য মামলাটি শুরু থেকে শুনানির জন্য নতুন তারিখ দেন। বিচারক নতুন করে মামলার শুনানির সিদ্ধান্ত নেন। কারণ সাক্ষীদের পাল্টা প্রশ্নের সুযোগ দেয়া হয়নি সালমানকে। ওই মামলায় এ যাবত শুনানি অনুযায়ী ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে সালমানের। চালাতে অসচেতনতা এবং দুর্ঘটনার কারণে দু বছরের সাজা পেয়েছিলেন সালমান। আবারও নতুন করে মামলার শুনানির কারণে সম্পূর্ণ নতুন তথ্য এবং প্রমাণ পেশ করা হবে আদালতে। এবার সাক্ষীদের পাল্টা প্রশ্ন করারও সুযোগ পাবেন সালমানের উকিল। একদশক আগের ওই ঘটনার অন্যতম সাক্ষী, সালমানের বডিগার্ড রবীন্দ্র পাটিল ঘটনার সময় গাড়িতেই ছিলেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি সালমানকে বেপরোয়া গাড়ি চালাতে মানাও করেছিলেন তবে সালমান তার কথা শোনেননি। তবে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে রবীন্দ্রর ভাষ্যে ফাঁক ধরেন সালমান। তবে তাকে তখন পাল্টা প্রশ্নের সুযোগ দেয়া হয়নি বলে সঠিক তথ্য আদালতে পেশ করা হয়নি। ২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, সালমান খান তার টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার বেপরোয়া চালানোর কারণে বান্দ্রার ফুটপাথে ঘুমন্ত কয়েকজন মানুষকে আঘাত করেন। এর মধ্যে একজন মারা যান এবং আহত হন চারজন।