পুলিশ পার্কে শিশু রিদুর স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের আহ্বান

বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল : সেলফি নিয়ে ভিন্নমত

স্টাফ রিপোর্টার: শিশু রিদুর স্মরণে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ পার্কে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের আহ্বান জানিয়েছেন শোকার্ত পরিবারের সদস্যরাসহ স্থানীয় সূধীমহল। রিদুর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় গতকাল রোববার বাদ আছর মিলাদ মাহফিলপূর্ব আলোচনায় এ আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, শিশু রিদুর হাতে মোবাইলফোন ছিলো না। সে সেলফিও তুলতে গিয়ে পড়ে মারা যায়নি। নিশ্চয় অপারেটর ও নাগরদোলার কোনো ত্রুটি ছিলো বলেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। কেনো না, এ আগেও ওই নাগরদোলা থেকে পড়ে শিশুর হাত ভাঙার ঘটনা ঘটেছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের সাদেক আলী মল্লিকপাড়ার ১নং পানির ট্যাংকের নিকট অ্যাড. ইমতিয়াজ আহমেদ উজ্জল স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছেন। উজ্জ্বলের একমাত্র সন্তান রিদু ছিলো তার কায়েক চাচারও একমাত্র ছেলে। সকলের আদরের ইমতিয়াজ আহমেদ রিদু গত শুক্রবার বিকেলে চাচাতো ফুফাতো ও প্রতিবেশী ভাইবোনদের সাথে পুলিশ পার্কে যায়। নাগরদোলায় ওঠে। আছড়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহ নিজ বাড়ি নেয়া হয়। পরদিন সকাল ১১টায় জান্নাতুল মওলা কবরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। গতকাল বিকেলে পারিবারিক উদ্যোগে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে সদর থানার ওসি, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ নিকট আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীরা শরীক হন। মিলাদের আগে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় পরিবারের সদস্যরা পুলিশ পার্কে রিদুর স্মৃতি ধরে রাখতে এবং রিদুর মতো আর কোনো শিশুর যাতে প্রাণ হারাতে না হয় সেটা নিশ্চিত করার লক্ষে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের আহ্বান জানানো হয়। একই সাথে উঠে আসে নাগরদোলায় উঠে রিদুর সেলফি তোলা প্রসঙ্গ। রিদু কার মোবাইল দিয়ে সেলফি তুলছিলো? রিদুকে তো তার বাবা মা মোবাইলফোনই দেয়নি। তা হলে সেলফি প্রসঙ্গটা এলো কীভাবে? এ প্রশ্নের জবাব জানতে গিয়ে রিদুর চাচা তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী কল্লোল বেশ কিছু প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় সব কিছু ঠিকঠাক সুন্দরভাবেই উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে একাংশে সেলফি তোলার কথা বলা হয়েছে। যা সঠিক নয়। কেনো না, প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে যাদের সাথে কথা বলেছি তাদের কয়েকজন বলেছেন, নাগরদোলায় ওঠে, ঘোরে। এমন সময় ওপারেটর থামিয়ে একজনকে তুলতে যায়। এ সময়ই ঘটে বিপত্তি।
তানভীর আমেদ সিদ্দিকী কল্লোল লিখিত এক প্রতিবাদলিপিতে বলেছেন, সেলফি তুলতে গিয়ে পড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত।