পুতিনের যুদ্ধ ঘোষণা : প্রতিরোধের প্রস্তুতি ইউক্রেনে

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ইউক্রেনে হামলা চালানোর অধিকার আছে বলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণার পর যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পশ্চিমাপন্থি কিয়েভ সরকার। সশস্ত্র বাহিনীকে পুরোপুরি যুদ্ধের জন্য প্রস্তত রাখাসহ সর্বোচ্চ সতর্কবস্থায় রাখছে ইউক্রেইন। গতকাল রোববার ইউক্রেনের অন্তর্বর্তী সরকারের এ পদক্ষেপের মধ্যদিয়ে স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে মস্কোর সাথে পশ্চিমাশক্তির সবচেয়ে বড় সংঘাতের পট প্রস্তুত হয়েছে। ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী আর্সেনি ইয়েসনিয়খ বলেন, এটি কোনো হুমকি নয়; এটি আমার দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। ইউক্রেন বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি এন্দ্রি পারুবি তার দেশের সেনা কর্মকর্তাদেরকে নিজ নিজ বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কেও রিজার্ভ ফোর্স তলব করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জরুরি সদরদপ্তর স্থাপন করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পারমাণবিক স্থাপনাগুলোসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চয়তার জন্য যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রয়োজনে সাহায্যও চাইবে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রালয়। ইউক্রেনে সামরিক শক্তি প্রয়োগে গত শনিবার পার্লামেন্টের অনুমোদন নিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। এর মাধ্যমে প্রতিবেশী ওই দেশে হস্তক্ষেপ না চালাতে পশ্চিমা দেশগুলোর আহ্বানকে অগ্রাহ্য করেছেন তিনি। ইতোমধ্যেই রাশিয়া বাহিনী কোনোরকম রক্তপাত ছাড়াই ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখলে নিয়েছে। গত শনিবার থেকে রুশ সেনারা ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের সামরিক চৌকি ও ফাঁড়িগুলোকে ঘিরে রেখেছেন। রুশ সেনাদের নির্দেশ অনেক ইউক্রেনীয় সেনা অস্ত্র ত্যাগ করলেও অনেকে সে নির্দেশ মানেননি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সেনাকে গুলি কিংবা আহত করার খবর পাওয়া যায়নি। ইউক্রেনের সাথে চুক্তির ভিত্তিতে ক্রিমিয়ায় আগে থেকেই একটি সামরিক ঘাঁটি রেখেছিলো রাশিয়া। ওদিকে ইউক্রেন সীমান্তে অন্তত একলাখ পঞ্চাশ হাজার সেনা মোতায়েন করে রেখেছে রাশিয়া। তবে যতোদূর জানা গেছে এখন পর্যন্ত কোনো সেনা সীমান্ত অতিক্রম করেনি। ইউক্রেনের রুশপন্থিরাও পূর্ব সীমান্তে রুশ পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ করছে, তারা পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি শহরে সরকারি ভবনগুলোতে রাশিয়ার পতাকা ওড়াচ্ছে।