পশ্চিমবঙ্গে শূকরবাহিত রোগে শতাধিক মানুষের মৃত্যু

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: পশ্চিমবঙ্গেরউত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ আকার নিচ্ছে এনসেফেলাইটিস। শূকরবাহিত এ রোগে গত ২৪ঘণ্টায়  উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে এনসেফেলাইটিসে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতসোমবার রাত পর্যন্ত এ রোগে ৬ জন মারা গিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে আরও একজনেরমৃত্যু হয়।  আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ১০৫ জনের।

শুধুমাত্রউত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই মারা গেছেন ৬৭ জন। পাশাপাশি রোগেরউপসর্গ নিয়ে ভর্তি আরও ৪৫ জন। পরিস্থিতি মোকাবেলায় উত্তরকন্যায় তড়িঘড়িবৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। বৈঠক শেষে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। মঙ্গলবারসকালে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল পরিদর্শনের পর তিনি জানান, যেসব এলাকায়জ্বরের প্রকোপ ছড়াবে , সেখানে বাড়ি বাড়ি ঘুরে  আক্রান্তদের রক্তের নমুনাসংগ্রহ করবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। যে কারণেই  উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে সবচিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি খোলা হয়েছেফিভার ক্লিনিক। কারও রক্তে এনসেফেলাইটিসের নমুনা মিললে সঙ্গে সঙ্গেক্লিনিকে আনা হবে। এনসেফেলাইটিসের মূল বাহক শূকরের টিকাকরণ করানো নিয়েমাদুরাইয়ের একটি সংস্থাকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যঅধিকর্তা। উত্তরবঙ্গ মেডিকেলের সুপার জানিয়েছেন, চিকিৎসাধীনদের মধ্যেসাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জানা গেছে, জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে জ্বরনিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন আরও ২৬ জন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরের  যত্রতত্র শূকর পালন চলছে। মরণব্যাধি নিয়ে উত্তরবঙ্গের সাত জেলায় আগেই জারিকরা হয়েছে সতর্কতা। তবে এখনই পরিস্থিতিকে মহামারী না বললেও মহামারীপরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।এনসেফেলাইটিস সংক্রমণ ক্রমশ ছড়াচ্ছে  উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলায়। সংক্রমণসবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ার, বীরপাড়া, মালবাজার, ধূপগুড়ি, কুচবিহার, খড়িবাড়ি ও  ফাঁসি দেওয়া এলাকায়।