পল্লীবিদ্যুত লাইন হতে বঞ্চিত হয়ে শুক্তাগড়ে গ্রামের বাসিন্দারা এখন সৌরবিদ্যুতে আলোয় জীবন কাটছেন।

মিজানপনা,রাজাপুর-ঝালকাঠী থেকেঃ শুক্তাগড়ে গ্রামের বাসিন্দারা এখন সৌরবিদ্যুতে আলোর মুখ দেখছে। শুক্তাগড় রাজাপুর উপজেলার উত্তর পশ্চিম সীমান্ত কাউখালী উপজেলার বর্ডার।এ গ্রামে যুগ যুগ ধরে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। নতুন প্রযুক্তির বদৌলতে এ গ্রামবাসী ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তারা এখন সৌরবিদ্যুতের কল্যাণে আলোর মুখ দেখছে। তাদের ঘরে এখন বৈদ্যুতিক পাখা ঘুরছে। বাতি জ্বলে ঘরকে আলোকিত করছে। টেলিভিশনও দেখারও সুযোগ হয়েছে।উপজেলার শুক্তাগড় গ্রামই এখন সৌরবিদ্যুতের আশীর্বাদে আলোর মুখ দেখছে। সুবিধাবঞ্চিত এসব গ্রামের বাসিন্দাদের আলোর মুখ দেখিয়েছে কয়েকটি এনজিও। এসব গ্রামে বসবাসকারী বেশির ভাগ মানুষই কৃষি ও মৎস্যজীবী ও প্রাবাসী রয়েছে। এনজিওগুলো  সৌরবিদ্যুৎ সবার ঘরে পৌঁছে দিতে কিস্তিতে উপকরণ সরবরাহ করছে। ফলে সহজেই গ্রামবাসীর প্রতিটি ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে এ সেবা।স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ নুরে আলম মল্লিক জানান, গ্রামবাসীর প্রতিটি ঘরকে আলোকিত করেছে কয়েকটি এনজিওর সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প। তারা বিভিন্ন মেয়াদের কিস্তিতে ও ৮নং শুক্তাগড় ওয়ার্ডবাসীকে এ সেবা পৌঁছে দিচ্ছে।অনেকের পক্ষেই কিস্তির টাকা ঠিকমতো পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ইউনিয়নের তথ্য সেবা কেন্দ্রের পরিচালক মিজানুর রহমান পনা মিঞা জানান, সরকার সহজ কিস্তিতে  সুবিধাবঞ্চিত এ শুক্তাগড় গ্রামবাসীকে সৌরবিদ্যুতের সেবা পৌঁছে দিলে তাঁরা অনেক উপকৃত হবেন। কারণ এনজিওগুলো তাঁদের কাছ থেকে কিস্তিতে সৌরবিদ্যুৎ সুবিধা দিতে গিয়ে বেশি টাকা আদায় করছে। এবং দীর্ঘদিন অবহেলিত এই শুক্তাগড় গ্রামবাসী বিদ্যুৎ এর আলো হতে বঞ্চিত বর্তমান সরকারের আমলে মানব্বন্ধন,মানবপ্রচার করেও মিলেনি তাদের বিদ্যুতের ভাগ্য। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কাছে আকুল আবেদন যে অন্ততপক্ষে এই গ্রামে ১/২কিঃ মিঃ ঝালকাঠী পল্লীবিদ্যুত সমিতির অধীনে মাষ্টাররোল কৃত প্লানে নতুন বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন করলে এ এলাকার ছাত্র/ছাত্রী,ব্যবসায়ী,শ্রমজীবী মানুষ এর স্বপ্নের সুখ বাস্তবায়িত হত।