পর্যটন ফেলোশিপ পেলেন চুয়াডাঙ্গার ছেলে আরটিভির জুলহাস

 

স্টাফ রিপোর্টার: পর্যটন বিষয়ে প্রতিবেদনের জন্য আরটিভির প্রতিবেদক জুলহাস কবীরসহ ১০ জনকে পর্যটন সাংবাদিক ফেলোশিপ দিয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড। গতকাল রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের ফেলোশিপের সনদ ও সম্মানি তুলে দেয়া হয়।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে এ বছর ফেলোশিপের জন্য ২৬টি আবেদন জমা হয়। এর মধ্যে ১০ জনকে ফেলোশিপ দেয়া হয়।  জুলহাস করিব সুজন চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার আসমানখালী গ্রামের নজরুল ইসলাম মুন্সি ও রওশন আরা সন্তান। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। সুজন ১৯৯৯ সাল থেকে জনপ্রিয় দৈনিক মাথাভাঙ্গায় রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। ২০০২ সাল পর্যন্ত মাথাভাঙ্গাতে কাজ করেন। এরপর কুষ্টিয়ার ‘দৈনিক আন্দোলনের বাজারের কাজ শুরু করেন ২০০৩ সাল থেকে। সেখানে ২০০৭ সাল পর্যন্ত কাজ করে ঢাকায় এসে বিভিন্ন পত্রিকাতে কাজ শুরু করেন। এরপর ২০১১ সালের জুন মাসে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টেলিভিশন একুশে টেলিভিশনে রিপোর্টার হিসেবে টেলিভিশন সাংবাদিকতা শুরু করেন। একুশে টেলিভিশনে দীর্ঘ পাঁচ বছর কাজ করার পর ২০১৫ সালের এপ্রিলে আরটিভিতে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি আরটিভিতে সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কাজ করছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।  এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. নাসির উদ্দিন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও পর্যটন) মো. ইমরান, ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক নিখিল রঞ্জন রায়, মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম, ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) পরিচালক তৌফিক রহমান, ট্যুরিজম বোর্ডের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতার হোসেন, অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের সভাপতি নাদিরা কিরণ, সাধারণ সম্পাদক তানজিম আনোয়ারসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানে পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, পর্যটন বিকাশে সাংবাদিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সাংবাদিকদের মাধ্যমে দেশের মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি সম্ভব। সাংবাদিকরা পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় গণমাধ্যমে তুলে ধরেন। পর্যটনমন্ত্রী বলেন, পর্যটনে বিনিয়োগের অভাব অনুভব করছি। এ খাতে বিনিয়োগ হলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারলে অর্থনৈতিকভাবে গার্মেন্টের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া সম্ভব।