পরিবারের অনুমতি ছাড়াই ঝিনাইদহের কিডনি রোগীর নামে আলমডাঙ্গায় অর্থ সংগ্রহকালে ৪ যুবক আটক : মুচলেকায় মুক্তি 

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ঝিনাইদহের কিডনি বিকল এক শিক্ষকের পরিবারের নিকট থেকে অনুমতি না নিয়েই তার চিকিৎসার জন্য সাহায্যের টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে আলমডাঙ্গার ৪ যুবক। তাদেরকে গতকাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আটক করে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনা মোতাবেক ভবিষ্যতে এমন কাজ করবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাজারগোপালপুর গ্রামের শিক্ষক রফিকুল ইসলামের দুটি কিডনি নষ্ট। তার চিকিৎসার বিশাল ব্যায়ভার বহন করা পরিবারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। এমন অসস্থায় কিছু পত্রিকায় অসুস্থ শিক্ষকের চিকিতসার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ প্রচার করা হয়। এরই সূত্র ধরে সম্প্রতি আলমডাঙ্গার কিছু যুবক ওই অসুস্থ শিক্ষকের চিকিতসার জন্য আলমডাঙ্গা শহরে আর্থিক সাহায্য তুলছিলো। ইতোমধ্যেই তারা প্রায় ১১ হাজার টাকা উত্তোলন করেছে। গতকাল তারা আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট একটা প্রত্যয়নপত্র গ্রহণ করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহানের নিকট আরেকটি প্রত্যয়নপত্র নিতে যায়। সে সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাদের পরিচয় জানতে চেয়ে জিজ্ঞেস করেন কে কী করে। উত্তরে তাদের অনেকে লেখাপড়ার বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দেয়। মিথ্যা তথ্য দেয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই যুবকদের সততা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মনে প্রশ্ন জাগে। তিনি জানতে চান যার জন্য আর্থিক সাহায্য সংগ্রহ করছো তার পরিবার কি জানে? বিষয়টি তিনি পরখ করতে ওই অসুস্থ শিক্ষকের পরিবারে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করলে তাদের সাথে আলমডাঙ্গার এ সকল যুবকের কোনো সম্পর্ক নেই। এমনকি তাদেরকে চেনেনও না বলে জানান ওই পরিবার। এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাদেরকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন। এরা হলেন- আলমডাঙ্গা শহরের জয়নাল আবেদীনের ছেলে রকি, সুলতান আহমেদের ছেলে মাহফুজুর রহমান, মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে খালেদ হোসেন ও শরবিন্দু সাধু খাঁর ছেলে সুমন কুমার সাধু খাঁ। পরে সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনা মতে মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়া হয়। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আবু তালেব মুচলেকা বুঝে নিয়ে তাদেরকে অভিভাবকের জিম্মায় তুলে দেন। এ সময় আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।