ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয়ে খালেদা জিয়া

 

স্টাফ রিপোর্টার: জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের পঞ্চম দিনে খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ৩৬ মামলার সবই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে করা। এসবের কোনোটিরই আইনি ভিত্তি নেই। তাই দেশে বিচার ব্যবস্থার বর্তমান পরিস্থিতিতে ন্যায়বিচার পাবেন কি-না- তা নিয়ে তিনি শঙ্কিত। এ প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে এসকে সিনহার পদত্যাগের বিষয়টি টেনে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেছেন, ‘শাসকমহলের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে দেশে এখন ন্যায়বিচারের বদলে সৃষ্টি হয়েছে নাই বিচারের পরিবেশ। ‘ঢাকার বকশীবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতে প্রায় এক ঘণ্টার বক্তব্যে খালেদা জিয়া আরো বলেন, ‘আমার আশঙ্কার জায়গা হচ্ছে- দেশে ন্যায়বিচারের পরিবেশ ও সুযোগ তারা (সরকার) ধ্বংস করে দিয়েছে। কাজেই আদালতের কাছে আমি ন্যায়বিচার পাবো কি না- সেই সংশয় নিয়েই এ মামলায় আমাকে জবানবন্দি দিতে হচ্ছে। ‘পঞ্চম দিনেও আত্মপক্ষ সমর্থনে খালেদার বক্তব্য শেষ হয়নি। তার আবেদনে বিচারক মো. আখতারুজ্জামান ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মূলতবি করেন। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলাও ওইদিন একই আদালতে শুনানির জন্য উঠবে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন গত ১৯ অক্টোবর। সেদিন তিনি দাবি করেন, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টে এতিমদের জন্য আসা একটি টাকাও তছরূপ বা অপচয় করা হয়নি তা ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে। এরপর ২৬ অক্টোবর আত্মপক্ষ সমর্থনের দ্বিতীয় দিনে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে এ মামলা ‘ভুয়া, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। ২ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থন করে তৃতীয় দিনে খালেদা বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে তাকে ‘সরাতে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার নীলনকশা’ বাস্তবায়ন করছে ক্ষমতাসীনরা। আর ১১ নভেম্বর তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিচারকরা স্বাধীনভাবে আইন মেনে বিচার করতে পারেন কি না- তার এ মামলার রায়েই এর প্রমাণ আসবে। বৃহস্পতিবার বক্তব্য দিতে উঠেও দেশের বিচার বিভাগের পরিস্থিতি এবং প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার পদত্যাগ প্রসঙ্গে কথা বলেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা সংবাদপত্রসহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জেনেছি, প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় এসকে সিনহাকে অসুস্থ ঘোষণা করে ন্যাক্কারজনকভাবে জোর করে ছুটিতে এবং দেশের বাইরে যেতে বাধ্য করা হয়। পরবর্তীতে দেশে না ফিরে পদত্যাগ করতে তাকে বিশেষ পন্থায় ভয়ভীতি দেখিয়ে বাধ্য করা হয়েছে।’