নির্যাতনের শিকার শিশু গৃহবধূ বীণা বিচার দাবিতে মুজিবনগর ইউএনও অফিসে

মুজিবনগর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার পল্লিতে বাল্যবিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বাল্যবিয়ে পরিপূর্ণতা পাওয়ার আগেই ভেঙে যাচ্ছে। প্রশাসন তৎপর হলেও কিভাবে এতো বাল্যবিয়ে হচ্ছে তা অনেকেরই অজানা। এলাবাসীরা জানান, অনেক বাল্যবিয়ে চলন্ত মাক্রোবাসের মধ্যে পড়ানো হচ্ছে। এছাড়া গভীর রাতে বিয়ে দিয়ে ২/৩ মাস পর বর এসে ঢাক ঢোল পিটিয়ে বউ নিয়ে যাচ্ছে।
রোমিওদের অত্যাচার, বাবা-মায়ের অজ্ঞতা, সৎ মায়ের অত্যাচার সব মিলিয়ে বাল্যবিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার এ বাল্যবিয়ে পরিপক্কতা পাওয়ার আগে যৌতুক এবং স্বামী-সংসারের লোকজনের কারণে দ্রুত ভেঙে যাচ্ছে সংসার।
মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের ইকতার আলীর মেয়ে বীনা খাতুন (১২) গেল বছর শিবপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। বাবার পূঙ্গত্বের সুযোগে তার সৎ মা বছরের মাঝামাঝি সময়ে বীণাকে জোর করে বিয়ে দেয় একই উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নের পুরন্দরপুর গ্রামের ফয়সালের সাথে। কিন্তু বিয়ের পর থেকে শিশু বীণার ওপর নির্যাতন চালাতে থাকে স্বামীরূপি কসাই ফয়সাল। গতকাল রোববার সকালেও মারধর করে এবং বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এবার বীণা বাবার বাড়ি না গিয়ে দুপুরের দিকে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসে পৌঁছে নির্যাতনের অভিযোগ করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. উসমান গনি আগামী বুধবার উভয়পক্ষকে ডেকে মীমাংসার উদ্যোগ নিয়েছেন।