নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার পর ঝিনাইদহে পোস্টার-ব্যানার সরানোর তোড়জোড়

ঝিনাইদহ অফিস: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহে মনোনয়নপ্রত্যাশী ও সম্ভাব্য প্রার্থীরা চার রঙা পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে প্রচারণায় নেমেছেন। তবে এগুলোর অপসারণ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার পর বুধবার রাত থেকে দেখা গেছে নেতাকর্মীদের ব্যানার-পোস্টার সরিয়ে ফেলার তোড়জোড় শুরু হয়।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, গত বুধবার রাতে শহরের পায়রা চত্বর, হাটের রাস্তা, আওয়ামী লীগ কার্যালয় এলাকা, হামদহ বাসস্ট্যান্ড, আরাপপুর, পুরাতন ডিসিকোর্ট এলাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা ব্যানার-পোষ্টার নামিয়ে ফেলে। ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী আওয়ামী লীগ নেতা কনক কান্তি দাসের সমর্থক মধু বিশ্বাস জানান, নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি ঘোষণা ও ঝিনাইদহে এ নিয়ে মাইকিং করায় তাদের নেতা পোস্টার তুলে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই রাতে সব পোস্টার-ব্যানার তুলে ফেলা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার আগে প্রতীক বা পোস্টারিং নির্বাচনী প্রচারণা আচরণবিধি অনুযায়ী অপরাধ সাব্যস্ত হওয়ায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকার নির্বাচনী প্রচারণার উদ্দেশে ব্যবহৃত পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনসহ যাবতীয় উপকরণ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সরিয়ে ফেলতে বলা হয়। এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয় রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসককে। জেলা প্রশাসন বুধবার বিকেলে ঝিনাইদহে এ নিয়ে মাইকিং করে। এরপরই শুরু হয় ব্যানার-পোস্টার সরানোর হিড়িক।