নিজের দেয়া তথ্যেই ফাঁসলেন ধনকুবের মুসা

 

স্টাফ রিপোর্টার: নিজের দেয়া তথ্যেই ফেঁসে যাচ্ছেন আলোচিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসের। নিজের নামে বিপুল বিত্ত-বৈভব দাবি করলেও এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি তিনি। এ কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক মনে করছে, সম্পদের বিষয়ে কথিত ধনকুবের মুসা বিন শমসের মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। অন্যদিকে বিপুল সম্পদের কথা স্বীকার করায় দুদকের বিশ্বাস, তার নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ রয়েছে। তাই পৃথক ২ অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেছেন দুদকের পরিচালক মীর মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন শিবলী।

পরে মামলার বাদী সাংবাদিকদের জানান, দুদক আইনের ২৬(২) ধারায় সম্পদের বিষয়ে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য দেয়া এবং ২৭(১) ধারায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে কেউ মিথ্যা তথ্য দিলে ৩ বছর এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১০ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে মুসা জানিয়েছিলেন, সুইজারল্যান্ডের ন্যাশনাল সুইস ব্যাংকে একটি যৌথ অ্যাকাউন্টে ১২ বিলিয়ন ডলার জব্দ রয়েছে। একই ব্যাংকের ভল্টে রয়েছে ৯০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের স্বর্ণালংকার। এছাড়া দেশের স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রাজধানীর গুলশানের ৮৪ নম্বর রোডে স্ত্রীর নামে বাড়ি, ফরিদপুরের নগরকান্দায় পৈতৃক বাড়ি, গাজীপুর ও সাভারে বিভিন্ন দাগে প্রায় ১২শ’ বিঘা সম্পত্তির তথ্য দাখিল করেছিলেন তিনি। দুদক বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সুইস ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে মুসার রক্ষিত অর্থ ও সম্পদের বিষয়ে তথ্য চায়। জবাবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, মুসার কোনো অ্যাকাউন্ট ওই ব্যাংকে নেই। তার কোনো সম্পদও জব্দ নেই।