নিখোঁজ তরুণীর লাশ সেপটিক ট্যাংকে

স্টাফ রিপোর্টার: তিনমাস আগে ঢাকা থেকে নিখোঁজ তরুণী সুবর্ণার লাশ জয়পুরহাটের একটি সেপটিকট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাজধানীর মিরপুর থানায় দায়ের করা মামলারসূত্র ধরে আটক আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গতকাল শুক্রবার দুপুরেডিএমপি পুলিশ জেলার আদর্শপাড়ায় নিহতের শ্বশুরবাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকেলাশটি উদ্ধার করে। সুবর্ণা ঢাকার মিরপুর-১২ এর মৃত হান্নান শেখের মেয়ে ওজয়পুরহাট আদর্শপাড়ার আলী হাসান পলাশের স্ত্রী ছিলেন।পুলিশ ও নিহতেরপরিবারের সদস্যরা জানান, সম্প্রতি সুবর্ণাকে তার খালাতো ভাই পলাশ গোপনেকোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে বিয়ে করেন। বিয়ের বিষয়টি জানাজানির পর গত ৩০জানুয়ারি ঢাকার পীরেরবাগ ৭৫/১ বাড়ি থেকে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলেপলাশ সুবর্ণাকে জয়পুরহাটে নিয়ে যান। এরপর থেকেই সুবর্ণার কোনো খোঁজপাচ্ছিলো না তার পরিবার।দীর্ঘদিন খোঁজাখুঁজির পর মেয়েকে না পেয়েসুবর্ণার মা সালমা ইসলাম গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পলাশ ও তার পরিবারের ৮ জনকেআসামি করে ঢাকার মিরপুর থানায় অপহরণ মামলা করেন। ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারেরসহযোগিতায় মামলাটি তদন্ত করেন গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সেলিনাপারভীন। তদন্তের এক পর্যায়ে গত ৫ মে পলাশের বোন শিউলিকে জয়পুরহাট থেকেগ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর পলাশের মা রহিমা বেগম, বাবা আরমান আলী ও শিউলীরস্বামী বকুলকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ীগতকাল শ্বশুরবাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে সুবর্ণার লাশ উদ্ধার করা হয়।নিহতসুবর্ণার বোন তানিয়া জানান, সুবর্ণাকে তার স্বামী ঢাকা থেকে নিয়ে যাওয়ারপর থেকে সে নিখোঁজ ছিলো। মামলার আসামি নিহতের শাশুড়ি রহিমা বেগম ও ননদশিউলী পুলিশের কাছে স্বীকার করেন যে পলাশই সুবর্ণাকে মেরে ফেলেছে।ঘটনারসত্যতা নিশ্চিত করে ডিএমপির সিনিয়র সহকারী কমিশনার মুক্তা ধর জানান, ৯আসামির মধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাশসহ বাকি আসামিদেরও দ্রুতগ্রেফতার করা হবে। তবে কি কারণে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে সে ব্যাপারে তিনিকিছু জানাতে পারেননি।