দেশ-বিদেশে চাকরি দেয়ার নামে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অভিযুক্ত প্রতারক আনন্দ

টাকা ফেরত পেতে প্রতারিতরা এখন দিশেহারা

স্টাফ রিপোর্টার: ইতালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং বাংলাদেশের আকর্ষণীয় বেতনে চাকরি দেয়ার লোভ দেখিয়ে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কোটচাদপুর শ্রীরামপুরের আনন্দ কর্মকারের বিরুদ্ধে। এ টাকা ফেরত পেতে প্রতারিতরা হয়ে পড়েছে দিশেহারা। প্রত্যেককেই স্ট্যাম্পে টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও আজ নয় কাল করে ঘুরাচ্ছে। কেউ কেউ অভিযুক্ত প্রতারক আনন্দের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের কুলতলা গ্রামের গনিরুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে মহিরুদ্দিন অভিযোগ করে বলেছেন, কোটচাদপুরের শ্রীরামপুর গ্রামের নারাণ কর্মকারের ছেলে আনন্দ কর্মকার গত বছরের মার্চ মাসের শেষের দিকে ইতালী পাঠানোর কথা বলে কয়েক দফায় ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা নেয়। এ টাকা জোগাতে মহিরুদ্দিন জমি, মোটরসাইকেল ও স্ত্রী সন্তানের গয়না বিক্রি করেছেন। আনন্দ কর্মকার কয়েকবার মহিরুদ্দিনকে জাল ভিসা দিয়ে বিমানবন্দর পর্যন্ত নিয়ে তাকে হয়রানি করেছেন। পরে মহিরুদ্দিন তার টাকা ফেরত চায় আনন্দ কর্মকারের কাছে। এ টাকা ফেরত দিতে শুরু হয় গড়িমসি। আজ নয় কাল বলে ঘুরানোর পাশাপাশি হুমকি-ধামকি অব্যাহত রাখে। শেষ পর্যন্ত গত বছরের ১৭ নভেম্বর মহিরুদ্দিন বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতে আনন্দ কর্মকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

মহিরুদ্দিনের অভিযোগে আরো জানা গেছে, মামলা দায়েরের পর থেকে আনন্দ কর্মকার মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। এদিকে শিক্ষকের চাকুরির কথা বলে আন্দুলবাড়িয়ার নাসির উদ্দিন সবুজের স্ত্রী সুমির কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা, একই গ্রামের সামাউল হকের মেয়ে ডালিয়া খাতুনের কাছ থেকে দেড় লাখ, আইশতলাপাড়ার সলেমান মিয়ার মেয়ে পারভিনের কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা, হাসাদহের শামসুল হকের ছেলে আনোয়ারের কাছ থেকে ১০ হাজারসহ ৭/৮ জনের কাছ থেকে আরো সাড়ে ৫ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আনন্দ কুমার। চাকরি না পেয়ে নাসির উদ্দিন সবুজ বাদি হয়ে আনন্দ কর্মকারের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৫ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। টাকা না পেয়ে দিশেহারা প্রতারিতরা আইনি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।