দেশের টুকরো

দ্বিজেন শর্মা আর নেই

স্টাফ রিপোর্টার: প্রকৃতিবিদ ও বিজ্ঞান লেখক অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মা আর নেই। ৮৮ বছর বয়সে ফুসফুসে সংক্রমিত হয়ে গতকাল শুক্রবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রকৃতি ও গাছগাছালির প্রতি ভালোবাসা ও লেখালেখির কারণে দ্বিজেন শর্মাকে নিসর্গসখা হিসেবে অভিহিত করা হয়। তাকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, রাষ্ট্রীয় একুশে পদকে ভূষিত করা হয়েছে। দ্বিজেন শর্মা ১৯২৯ সালের ২৯ মে সিলেট বিভাগের বড়লেখা থানার শিমুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা সিটি কলেজ থেকে স্নাতক অর্জনের পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেন। তিনি উদ্ভিদবিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে চাকরি করেছেন করিমগঞ্জ কলেজ, বিএম কলেজ ও নটর ডেম কলেজে। পরে মস্কোর প্রগতি প্রকাশনে চাকরি করেছেন প্রায় কুড়ি বছর। এরপর দেশে ফিরে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিতে। পরোক্ষভাবে বামপন্থী রাজনীতি করার কারণে কিছুকাল আত্মগোপন, এমনকি কারাবাসও করতে হয়েছে দ্বিজেন শর্মাকে। ১৯৭০ এর জলোচ্ছ্বাসে দুর্গত মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসের অধিকাংশ সময়ই তিনি বাংলাদেশে ছিলেন।

হারিকেন ইরমার কারণে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে বিলম্ব

স্টাফ রিপোর্টার: হারিকেন ইরমার আঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ক্ষয়ক্ষতির কারণে বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ উৎক্ষেপণ বিলম্বিত হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ প্রকল্পের পরিচালক মো. মেজবাহুজ্জামান বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, হারিকেনের দরুন বৈরি আবহাওয়ার কারণে ফ্লোরিডার কেইপ কেনাভেরালের লঞ্চ প্যাড এখন অকার্যকর। একারণে সেখান থেকে দক্ষিণ কোরিয়া ও বুলগেরিয়ার দুটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের তারিখ থাকলেও তা ইতোমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে। হারিকেন ইরমা রোববার ফ্লোরিডায় আঘাত হানে। প্রচণ্ড ঝরের তাণ্ডবে সেখানে অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঝরের কারণে ৩৩ লাখ মানুষ বিদ্যুতের সুবিধাবঞ্চিত হন। যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ অনুসন্ধান ও প্রযুক্তি কোম্পানি ‘স্পেসএক্স’ এর ফ্যালকন-৯ রকেটের মাধ্যমে আসছে ১৬ ডিসেম্বরে ফ্লোরিডার লঞ্চ প্যাড থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু সূচিতে গড়বড় হওয়ায় বাংলাদেশর প্রথম উপগ্রহের উৎক্ষেপণ পিছিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মেজবাহুজ্জামান।