দেশের টুকরো খবর

সফিউল এফবিসিসিআইয়ের নতুন সভাপতি
স্টাফ রিপোর্টার: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি হলেন তৈরি পোশাক রপ্তানি খাতের ব্যবসায়ী সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। অন্যদিকে সংগঠনটির প্রথম সহসভাপতি হয়েছেন গোপালগঞ্জ চেম্বারের শেখ ফজলে ফাহিম ও হিমাগার মালিক সমিতির মো. মুনতাকিম আশরাফ। তাঁদের বিপক্ষেও কেউ শেষ পর্যন্ত প্রার্থী থাকতে পারেননি। গতকাল মঙ্গলবার সভাপতি ও দুই সহসভাপতি পদে নির্বাচন হয়। সভাপতি পদে সফিউল ইসলাম ছাড়া কেউ মনোনয়নপত্র কেনেননি। অন্যদিকে দুই সহসভাপতি পদে মোট ১১ জন মনোনয়নপত্র নিয়েছিলেন। এফবিসিসিআই দেশের পণ্যভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশন ও এলাকাভিত্তিক চেম্বারের যৌথ সংগঠন। এসব সংগঠন থেকে মনোনীত ও নির্বাচিত ৬০ জন পরিচালকের ভোটে সভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচিত হওয়ার কথা। নিয়ম অনুযায়ী এবার চেম্বার থেকে প্রথম সহসভাপতি ও অ্যাসোসিয়েশন থেকে সহসভাপতি হয়েছেন। চেম্বারে শেখ ফজলে ফাহিমের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ফেনী চেম্বারের একেএম শাহেদ রেজা। অন্যদিকে মুনতাকিম আশরাফের বিরুদ্ধে ছিলেন পুরোনো গাড়ি আমদানিকারক হাবিব উল্লাহ ডনসহ আটজন। দুজন পরিচালক বলেন, সহসভাপতি পদ নিয়ে সমঝোতার জন্য চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালকেরা আলাভাবে আলোচনায় বসেন। সেখানে এ নিয়ে ব্যাপক হট্টগোল হয়। শেখ ফজলে ফাহিম আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলে। অন্যদিকে মুনতাকিম আশরাফ আওয়ামী লীগের সাংসদ মো. আলী আশরাফের ছেলে। আলী আশরাফ এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনী বোর্ডের প্রধান।

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে নীল দলের একটি প্যানেল
স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে সরকার-সমর্থক হিসেবে পরিচিত নীল দলের দুই প্যানেলের একটি বাতিল করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রথমে আইনি পদক্ষেপের ঘোষণা দিলেও পরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পিছুটান দেন প্রার্থিতা বাতিল হওয়া শিক্ষকেরা। ফলে ২২ মের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সাদা দলের বিরুদ্ধে নীল দলের একটি প্যানেলই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান স্বাক্ষরিত ৬৯ জনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক নাজমা শাহীনের প্যানেলের ৩৪ জন ও বিএনপি-জামায়াতপন্থি সাদা দলের ৩৫ জনের নাম রয়েছে। চূড়ান্ত তালিকায় নীল দলের অপর একটি প্যানেলের (যার নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল) কারও নাম নেই। নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক কামাল উদ্দীন তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, নীল দলের আহ্বায়কের প্যানেলের শিক্ষকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া তাদের কেউই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেননি। তাদেরকে নীল কাগজ ছাড়া অন্য কোনো রঙের কাগজ ব্যবহার করতে বলা হয়েছিলো। সেটাও তারা করেননি। সব বিষয় বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ ও শিক্ষার পরিবেশ যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

যশোরে আবারও ফাঁসাতে গিয়ে ধরা খেলো পুলিশ
স্টাফ রিপোর্টার: ফেনসিডিল দিয়ে এক চা দোকানিকে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। স্থানীয় লোকজন ওই দুই কর্মকর্তাকে হাতেনাতে ধরে আটকে রেখে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। পরে এ দুজনসহ পুলিশের তিন সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে যশোরের চৌগাছা উপজেলার খড়িঞ্চা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যাহার করা তিনজন হলেন চৌগাছা থানার এএসআই সাজ্জাদুর রহমান ও মাসুদ রানা এবং কনস্টেবল সেলিম রেজা। সম্প্রতি চৌগাছা বাজারে প্রসাধনের একটি দোকানে ইয়াবা বড়ি রেখে ব্যবসায়ীকে আটকের চেষ্টার সময় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জনতার হাতে ধরা পড়েন পুলিশের দুই সদস্য। এ ঘটনায় ওই দুই সদস্যকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়। স্বরূপদহ ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, খড়িঞ্চা বাজারের চায়ের দোকানদার আবদুর রহমান গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দোকান বন্ধ করে পার্শ্ববর্তী পুড়াপাড়া বাজারে যান। ফিরে দেখেন তার দোকানের সামনে একটি মাইক্রোবাস। মাইক্রোবাসের পাশে এএসআই সাজ্জাদুর ও মাসুদ দাঁড়িয়ে আছেন। মাইক্রোবাসের চালক দোকানের পেছনে কিছু একটা রাখতে যান। এ সময় আবদুর রহমান ওখানে কী রাখছেন বলে চিৎকার দিয়ে ওঠেন। চিৎকার শুনে পুলিশের দুই কর্মকর্তা তাকে ধরে বলেন, ওটা ফেনসিডিলের বোতল। তুই দোকানের পেছনে রেখেছিস। তুই ওই ফেনসিডিলের মালিক। এ কথা বলে পুলিশ তাকে আটকের চেষ্টা করে। তিনি প্রতিবাদ জানালে পাশ থেকে বাজারের অন্য লোকজন এসে পুলিশ সদস্যদের ঘিরে বিক্ষোভ করতে থাকেন।