দেশের টুকরো খবর

দুর্নীতি জিরো টলারেন্সে আনা হবে : দুদক চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ যারা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থ লুট করেছেন, জনগণের অর্থ চুরি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলবে। এ তিনটি সেক্টরকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ তিনটি সেক্টরের দুর্নীতি জিরো টলারেন্সে আনা হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্নীতিমুক্ত করতে এবং জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ মহানগর, জেলা ও উপজেলা দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ইকবাল মাহমুদ বলেন, জনগণের ব্যাংকে গচ্ছিত হাজার কোটি টাকা জামানত ছাড়া নিয়ে গেছে, এটা কেমন কথা। আমরা চেষ্টা করছি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এই দুর্নীতি ধরার। আর এসব দুর্নীতি ধরতে সিস্টেম তৈরি করতে হবে। এ জন্য কাজ চলছে। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগকারীকে জানানো হবে। সমাজের দুর্নীতি একদিনেই শেষ করা সম্ভব নয়। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের চাহিদা অনেক বেশি। চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য করতে না পারলে সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে।

 

জুলহাজের পরিবারকে ওবামার চিঠি

স্টাফ রিপোর্টার: জুলহাজ মান্নানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তার পরিবারকে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। গতকাল বৃহস্পতিবার জুলহাজের বড় ভাই মিনহাজ মান্নানের হাতে ওই চিঠি দেন বাংলাদেশে ইউএসএআইডির মিশন হেড ইয়ানিনা জারজালস্কি। গত ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানে খুন হন ইউএসএআইডির কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট চিঠিতে লিখেছেন, জুলহাজের মৃত্যুতে মিশেল ও আমি আপনাদের দুঃখ ও বিষাদের অংশীদার। আমরা অন্তরের অন্তস্তল থেকে শোক প্রকাশ করছি। জুলহাজকে হারিয়ে আপনাদের যে বেদনা তা বর্ণনাতীত। সারা বাংলাদেশে একটি অধিকতর ন্যায়সঙ্গত ও সমতাভিত্তিক ভবিষ্যত্ গড়ায় অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন জুলহাজ। আর সে কাজেই তিনি নিজেকে উত্সর্গ করেছেন। যারা তাকে চিনতেন ও ভালোবাসতেন এবং পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষায় তার কাজ যাদের উজ্জীবিত করেছেন, তাদের মাঝে জুলহাজের কীর্তি রয়ে যাবে। জুলহাজের সাহস, অন্যের জন্য তার সহানুভূতি চির জাগরূক হয়ে থাকবে, এ টুকু জেনে অন্তত আপনারা সান্ত্বনা খুঁজে নেবেন। এই চরম দুঃসময়ে আমি আপনাদের পাশে আছি।

 

দেশে দুই কোটি মানুষ ভুলভাবে ওষুধ খায়

স্টাফ রিপোর্টার: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান বলেছেন, বছরে প্রায় দুই কোটি মানুষ ভুল ভাবে ওষুধ সেবন করে। ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থাপত্র, ভুল বিতরণ ব্যবস্থা ও বিক্রির কারণে এই বিপুল সংখ্যক মানুষ ভুলভাবে ওষুধ সেবন করে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর খামরারবাড়ির একেএম গিয়াস উদ্দীন মিলকি মিলনায়তনে স্বাস্থ্য অধিকার জনসম্মেলন : স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থার পর্যালোচনা ও প্রস্তাবণা শীর্ষক দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ওষুধ বিশেষজ্ঞ মো. সায়েদুর রহমান এই তথ্য দেন। স্বাস্থ্য আন্দোলন ও উবিনীগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ভুল ওষুধ সেবনের কারণে শুধু আর্থিক ক্ষতি হয় তা না। মানুষ আরও নানা জটিলতার শিকার হয়। দেশের ১৫টি জেলার মাঠ পর্যায়ের কর্মী ও সংগঠন এবং সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মানুষ স্বাস্থ্য খাতের নানা বৈষম্যের তথ্য উপস্থাপন করেন।

 

এক ঘরে বন্দী ছিলো তিন হাজার পাখি

স্টাফ রিপোর্টার: বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাধাল বাজার এলাকায় আবদুল জলিল নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তিন হাজারের বেশি বন্য পাখি উদ্ধার করা হয়েছে। সুন্দরবন থেকে চোরা শিকারিরা এসব পাখি বিক্রির জন্য ধরে এনে ওই বাড়িতে মজুদ করেছিলো। বন বিভাগের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মীরা এসব পাখি উদ্ধার করেন। পরে এসব পাখি সুন্দরবনের করমজল এলাকায় অবমুক্ত করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। বন বিভাগের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক অসীম মল্লিক বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আবদুল জলিলের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। তার বাড়ির একটি ঘরে মশারি ও খাঁচার ভেতরে আটকে রাখা অবস্থায় পাখিগুলো উদ্ধার করা হয়। চোরা শিকারিরা পালিয়ে গেছেন। তিনি আরও বলেন, রুহুল আমিন নামের এক ব্যক্তি প্রায় এক বছর আগে আবদুল জলিলের ওই ঘর ভাড়া নেন। তিনি সুন্দরবন থেকে এসব পাখি ধরে আনা একটি চক্রের সাথে জড়িত। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবন থেকে পাখি শিকার করে দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে আসছে। চক্রটিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।