দেশের টুকরো খবর

 

আরও ১৫ জন অ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত

স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের পর শাহজাদপুরে আবার নতুন করে অ্যানথ্রাক্স রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। শাহজাদপুর উপজেলার চর কৈজুরী গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার দু জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। চার দিন আগে নয়জন রোগীকে শনাক্ত করা হয়। আক্রান্ত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার কৈজুরী গ্রামের মোজাম্মেল (৫০), বিউটি বেগম (৩২), পূর্ব চরকৈজুরী গ্রামের আজিম প্রাং (৪৮), নাজমা (৩৫), জাফর আলী (৩২), পারুল (১৬), উজ্জল (১০), জহির প্রাং (২৭), মহির প্রাং (৩০), তাহের আলী (৪০) ও হাফিজুল ইসলাম (১৩)। শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. জাফরুল হোসেন বলেন, গত ৩০ এপ্রিল চর কৈজুরী গ্রামের আবুসামা প্রামাণিকের একটি অসুস্থ গরু জবাই করে তারা মাংস ভাগাভাগি করে নেন। এই মাংস কাটা ও ধোয়ার কাজে জড়িত ব্যক্তিদের শরীরে ৭ মে থেকে ছোট ছোট ঘায়ের সৃষ্টি হয়। পরে তাদের হাসপাতাল থেকে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে তারা সুস্থ রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাকেন্দ্রের (আইইডিসিআর) কর্মকর্তা ফারহানা হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে রোগটি অ্যানথ্রাক্স বলে নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবদুল হাই বলেন, ওই ব্যক্তির একটি গরু অসুস্থ হয়ে মারা যায়। অন্যটি অসুস্থ হলে তারা জবাই করে মাংস ভাগাভাগি করে নেন। এই মাংস কাটাকাটির সাথে এবং রান্নার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরাই অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অসুস্থ গরুকে জবাই না করা ও মারা যাওয়া গরু মাটিতে পুঁতে রাখার জন্য বলা হচ্ছে। যেকোনো বিষয়ে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে খবর দেয়ার জন্য অনুরোধ করে এলাকায় মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। একই সোথে অন্য গবাদিপশুকে অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রতিষেধক ইনজেকশন দেয়া হচ্ছে। সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন শহিদ মো. সাদিকুল ইসলাম বলেন, এলাকায় আরও রোগী আছে কি-না, এ জন্য তিনটি দল কাজ করছে। তবে এটি ছোঁয়াচে কোনো রোগ নয় বিধায় চিন্তার কারণ নেই। আক্রান্ত ব্যক্তিরা এক সপ্তাহের মধ্যেই ভালো হয়ে যাবেন। ৬ মে জেলার কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল গ্রামে ২১ জন অ্যানথ্রাক্স রোগীকে শনাক্ত করা হয়।

 

নরসিংদীতে সন্তান হত্যার দায়ে মায়ের মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার: পরকীয়া প্রেমের ঘটনা প্রকাশ করে দেয়ায় ৬ বছরের শিশু সানাউল্লাহকে হত্যার অভিযোগে মা জাহানারা আক্তার (২৮) ও প্রেমিক হানিফ শেখের (৩০) বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহীন উদ্দীন এক জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় প্রদান করেন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, পলাশ উপজেলার চলনা গ্রামের মো. বাবুল মিয়া দীর্ঘদিন যাবত দুবাই প্রবাসী থাকাবস্থায় একই উপজেলার খলাপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে হানিফ শেখের নজর পড়ে বাবুলের স্ত্রী এক সন্তানের জননী জাহানারা আক্তারের ওপর। ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর বিকেলে কথিত প্রেমিক যুগল অবৈধ কাজে লিপ্ত হয়। এ সময় দুবাই প্রবাসী বাবুল হোসেন ফোন করলে তার ৬ বছরের শিশুপুত্র সানাউল্লাহ মোবাইলফোন ধরে এবং তার মা জাহানারা আক্তারের কুকর্মের ঘটনা পিতাকে জানিয়ে দিলে হানিফ শেখ ও জাহানারা আক্তার রাগে ও ক্ষোভে সানাউল্লাহর গলা টিপে ধরলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।

 

নরসিংদীতে সহপাঠীর হাতে স্কুলছাত্র খুন

স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদী শহরের ব্রাহ্মন্দীস্থ খালপাড় এলাকায় সহপাঠীদের হাতে পারভেজ মিয়া (১৩) নামে নরসিংদী আইডিয়েল হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্র খুন হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় নুরুল আমিন নামে তার অপর সহপাঠী মারাত্মকভাবে আহত হয়ে জেলা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, স্কুলের টিফিন পিরিয়ডের সময় প্রতিদিনে ন্যায় পারভেজ মিয়া ও নুরুল আমিন টিফিন খেতে স্কুল থেকে বের হলে একই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আরিফুল ইসলাম ও রোমান মিয়া তাদেরকে ডেকে খালপাড় এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে আরিফুল ও রোমানসহ ৪/৫ জন মিলে ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে পারভেজ ও নুরুল আমিনকে গুরুতর আহত করে খালের পানিতে ফেলে দিয়ে চলে আসে। লোকমাধ্যমে খবর পেয়ে আইডিয়েল হাইস্কুলের শিক্ষকরা ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিত্সা দিয়ে উন্নত চিকিত্সার জন্য পারভেজ মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। ঢাকায় নেয়ার পথে পাচঁদোনা নামক স্থানে পৌঁছুলে পারভেজ মারা যায় এবং নুরুল আমিনকে জেলা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছে।