দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো সব বয়সী লোকের ফুটপাতের দোকানে ভিড়

খাইরুজ্জামান সেতু/উজ্জ্বল মাসুদ: ইতোমধ্যে হেমন্ত এসেছে শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে। সাথে এসেছে মিষ্টি রোদ। সন্ধ্যা নামতে না নামতেই বেশি করে জানান দিচ্ছে হিমেল পরশ। বাড়ির গিন্নির বাক্সে বন্ধী করা গরম কাপড়ের কদর বাড়তে শুরু করেছে। আমাদের দেশে ঋতু অনুযায়ী হেমন্তের সাথে সাথে নবান্নও আসে। হেমন্তের আগমনে  গ্রামাঞ্চলে নতুন ধান দিয়ে শুরু হয় নবান্নের আয়োজন। একই সাথে নবান্নের ছাপ পড়তে শুরু করেছে শহরাঞ্চলে। গ্রামাঞ্চলে এখন শীতের আমেজ শহরের তুলনায় বেশি। পিঠা ছাড়া বাংলার শীত পরিপূর্ণ হয় না। সকালে কাঁপতে কাঁপতে পিঠা খাওয়া গ্রামের পরিচিত দৃশ্য। শীত এলেই মনে পড়ে শীতের পিঠার কথা। শীতের পরিচিত এ অনুষঙ্গ পিঠার চল চুয়াডাঙ্গাসহ আশেপাশ জেলা শহরেও রয়েছে। অবশ্য শহরাঞ্চলে পিঠা বানানো এখন অলসতায় পরিণত হয়েছে। সুতরাং বড় বড় শহরের মতো শীতের পিঠা এখন দোকানেও কিনতে পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে চুয়াডাঙ্গা শহরে ফুটপাতে ও অলিগলিতে ভাপা পিঠার দোকান বসেছে। এসব পিঠা বিক্রি হচ্ছে দেদারচ্ছে। ফুটপাতের পিঠার দোকান থেকে অনেককেই পিঠা কিনে বাড়িতে নিয়ে যেতেও দেখা যায়। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো সব বয়সী মানুষ গ্রামের পিঠার মজা ফুটপাতের দোকান থেকে নিতে চেষ্টা করে। চুয়াডাঙ্গা চৌরাস্তা মোড়ে ফেরিঘাট রোডে ফুটপাতের পিঠা বিক্রেতা ইসলামপাড়ার রিয়াজ জানান চালের গুঁড়া, নারকেল, খেজুরের গুড় ও লবণ ভাপা পিঠার মূল উপাদান। পিঠা বিক্রি হয় সকাল ও সন্ধ্যায়। সকাল ৬টা থেকে ৯/১০টা পর্যন্ত এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯/১০টা পর্যন্ত ফুটপাতে বসে পিঠা তৈরি করে বিক্রি করি। এ পিঠা ৫ টাকা থেকে ১০ টাকায় বিক্রি করেন বলে জানান। এখন চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে পিঠা বিক্রি হলেও শীত যতো বাড়বে ফুটপাতে পিঠা বিক্রির দোকানের সংখ্যাও বাড়বে। এমন কি বিভিন্ন পাড়া মহল্লায়ও পিঠার দোকান দেখা যাবে। এ সময় পিঠা বিক্রিই অনেকের সংসার চালানোর প্রধান অবলম্বন।