দুই কোরিয়ার পরিবারের মধ্যে ঐতিহাসিক মিলন

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ছয় দশক পর নিজের পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাত করার সুযোগ পেলেন যুদ্ধের সময় আলাদা হয়ে যাওয়া দুই কোরিয়ার কয়েকশত জনগণ। ১৯৫০-৫৩ সালের কোরিয়া যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো মিলিত হলেন তারা। বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার মাউন্ট কুমগ্যাং অবকাশ কেন্দ্রে দুই কোরিয়া থাকা পরিবারের সদস্যরা মিলিত হন।  ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ায় চলবে এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। গতকাল বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার নির্ধারিত স্থানে দক্ষিণ কোরিয়ার ১৪০ জন। তাদের মধ্যে ৮০ জন বৃদ্ধ। উত্তর কোরিয়া থেকে প্রায় ১শ জন কুমগ্যাংয়ের পুনর্মিলন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। প্রিয়জনদের সাক্ষাত পেয়ে আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েন কোরীয়রা। পুনর্মিলনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা একত্রে সময় কাটান। রাতে তারা একসাথে খাবেন। পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে রাজনীতি নিয়ে কোনো আগ্রহ না দেখালেও নিজেদের আবেগ ‍অনুভূতিকেই প্রধান্য দিচ্ছেন। প্রিয়জনদের জন্য কেউ আনতে ভুলেননি উপহার সামগ্রী, পোশাক, ওষুধপত্র ও খাবার। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আসা সত্তরোর্ধ্ব লি দু ইয়ং বলেন, এটি সত্যই একটি অলৌকিক ঘটনা। আমি খুবই অনুপ্রাণিত।  আমার জীবনে যার অভাব ছিলো সে আমার ভাই। আজকে আমি তাকে দেখতে পেলাম। আগামীকাল মারা গেলেও আমার কোনো আক্ষেপ থাকবে না। কোনো শান্তিচুক্তি না হলেও ১৯৫৩ সালে যুদ্ধবিরতির ঘোষণার মধ্যদিয়ে কোরিয়া যুদ্ধের অবসান হয়। এতে লাখ লাখ কোরীয় একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। পরে দুই দেশের সম্পর্কের ‍অবনতি হলে তাদের মাঝে আর কোনো সরাসরি যোগাযোগ হয়নি। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া দু দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার ঘোষণার পর এ অনুষ্ঠানটি হচ্ছে। তবে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের জন্য সোমবার থেকে পীত সাগরে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের অনুষ্ঠেয় সামরিক মহড়া স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছিল উত্তর কোরিয়া।