দিল্লির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে ঢাকা

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের চালকবিহীন বিমান বা ড্রোন নজরদারির ব্যাপারে দিল্লির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে দিল্লির কাছে ব্যাখ্যা চায় ঢাকা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহির্প্রচার অনুবিভাগের মহাপরিচালক শামীম আহসান ও দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক জসিমউদ্দিন এ তথ্য জানান।

বর্তমানে ভারত ড্রোন বিমান নকশাল আক্রান্ত এলাকাগুলোতে ব্যবহার করছে। বিএসএফ’র এক কর্মকর্তা জানান, সীমান্তবর্তী এলাকায় ড্রোনের ব্যবহার আরও সফল বলে প্রমাণিত হতে পারে। বিএসএফ’র নজরদারি শক্তিশালী করতে এরই মধ্যে শত্রুপক্ষীয় অবস্থান নির্ণয় এবং সেই স্থানের নজরদারিতে দূরপাল্লার লোরোস (এলওআরআরওএস) ব্যবস্থা, যুদ্ধক্ষেত্রে নজরদারি রাডার (বিএফএসআর) ও রাতের অন্ধকারে দেখার উপযোগী যন্ত্র ব্যবহার করছে ভারত। এসবের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হতে যাচ্ছে সীমান্তে ড্রোন মোতায়েনের এ ব্যবস্থা। বাংলাদেশ সীমান্তে আরও নজরদারি বাড়াতে ড্রোন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। ভারতীয় বিমানবাহিনীর সহায়তা নিয়ে এ নজরদারি করবে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ ধরনের ড্রোন নজরদারি পাকিস্তান সীমান্তেও করবে ভারত সরকার।

বিএসএফ মহাপরিচালক সুভাষ জোশি জানান, সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর উদ্দেশে খুব শিগগিরই ড্রোন মোতায়েন করা হবে। এজন্য ভারতীয় বিমানবাহিনী ড্রোন ব্যবহার ও পরিচালনা পদ্ধতির খসড়া চূড়ান্ত করছে। ড্রোন সীমান্ত এলাকার ১০ থেকে ১২ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়বে। আকাশসীমা ব্যবহার সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতা থাকায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর সহায়তা নেয়া হবে। তিনি বলেন, আমরা শুধু পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তেই এটি মোতায়েন করব না বাংলাদেশের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তেও ড্রোন মোতায়েন করা হবে। ভারতীয় সীমান্তে কেউ অনুপ্রবেশের করার চেষ্টা করলে বা এ সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড চালালে তার চিত্র ড্রোন থেকে ধারণ করা হবে এবং তাৎক্ষণিকভাবে সেসব তথ্য সংশ্লিষ্ট বিএসএফ ক্যাম্পে জানিয়ে দেয়া হবে। তিনি বলেন, ড্রোন মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়ে দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তান সরকারও সীমান্তে ড্রোন নজরদারি শুরু করেছে।

বিএসএফ’র এক কর্মকর্তা দাবি করেন, ড্রোন ব্যবহার করা হলে সীমান্তে আরও কার্যকরভাবে নজরদারি সম্ভব হবে। আকাশ থেকে নজরদারির ব্যবস্থা করা হলে তাতে সীমান্তে অপতৎপরতা দমনের পাশাপাশি কোনো পক্ষ যদি অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত গতিবিধির কথা অস্বীকার করতে চায় তারও প্রমাণ তুলে ধরা যাবে। বিএসএফ’র তৎপরতা জোরদার করতে ভারত এরই মধ্যে দূরপাল্লার নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা, যুদ্ধক্ষেত্রে নজরদারি রাডার এবং নাইট ভিশন ব্যবহার শুরু করেছে। সীমান্তে ড্রোন ব্যবহারের একটি প্রস্তাব বিএসএফ’র পক্ষ থেকে গত বছর ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে দেয়া হয়।