দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও প.প. বিভাগীয় কর্মকর্তাদের গাফিলতি : গাইদঘাট কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা বঞ্চিত এলাকাবাসী

 

স্টাফ রিপোর্টার: ‘সেবা নিন সুস্থ থাকুন’ এই অঙ্গীকার নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে গাইদঘাট কমিউনিটি ক্লিনিকটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। তবে, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগীয় কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলায় ক্লিনিকটির সেবা থেকে এলাকাবাসী দিনের পর দিন বঞ্চিত হচ্ছে। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে  ১০টায় সরেজমিনে কমিউনিটি ক্লিনিকটি বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে, সেবা প্রত্যাশীদের সকাল থেকে গেটের বারান্দায় বসে থাকতে ও  অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অথচ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চালু থাকার সরকারি নিয়ম রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত ২০০০ সালে সদর উপজেলার গাইদঘাট গ্রামের বিশিষ্ট সমাজ সেবক শামসুজ্জুহা জোয়ার্দ্দার গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা উন্নত করার লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার জন্য ৫ শতক জমি দান করেন। পরবর্তীতে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পের আওতায় সেখানে ভবন নির্মাণ করা হয়। ওই সময় সরকারের উদ্দেশ্য ছিলো গ্রামীণ পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা উন্নত করা। কিন্ত বর্তমানে ক্লিনিকের দায়িত্বরত হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার মেহেদী হাসান, স্বাস্থ্য সহকারী রুবিনা আখতার ও পরিবার কল্যাণ সহকারী সাহেরা খাতুনের দায়িত্ব অবহেলার কারণে তা ভেস্তে যেতে বসেছে।

গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১০টায় ক্লিনিকের সামনে দুইনারী ও শিশুসহ ৫জনকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। অপেক্ষার কারণ জানতে চাইলে নার্গিস নামের একজন জানান, পেট ব্যাথা ও মাথার যন্ত্রণার জন্য ওষুধের অপেক্ষায় বসে রয়েছি। লোকমুখে শুনেছি ক্লিনিকটি প্রতিদিন বেলা ১১টায় খোলে। তাই অপেক্ষা করছি। এভাবে কাউকে না পেয়ে অনেকে ফিরে গেছেন বলে জানালেন তিনি ।

এব্যাপারে জানতে চাইলে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আলী হোসেন জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান  কর্তব্যে অবহেলা প্রসাথে বলেন, পরিবার কল্যাণ সহকারী কেন কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন না তা খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।