দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচনের বাকি আরমাত্র ২ দিন

 

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের যোগ্যতা নিয়ে সচেতনমহলে বিরুপ মন্তব্য

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচন আগামী ২৫ মে। নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পদচারণায় মুখোরিত হয়ে উঠেছে গোটা নির্বাচনী এলাকা। প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দিচ্ছেন উপবৃত্তি পাইয়ে দেয়াসহ নানা প্রতিশ্রুতি। মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ২৭৩ জন। এরমধ্যে সাধারণ (পুরুষ) ভোটার ১ হাজার ১৯৫, সাধারণ (নারী) ভোটার  ৩৭ জন, সাধারণ শিক্ষক ভোটার ৩৩ জন, সাধারণ নারী শিক্ষক ভোটার ৭ জন এবং দাতা সদস্য ১ জন। স্কুল পর্যায়ে দুটি সদস্য পদের বিপরীতে লড়ছেন ৬ প্রার্থী। ৬ প্রার্থীর মধ্যে মুনসুর আলী লড়ছেন টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে, ইমরান আকাশ ইমান (ফুটবল), এম নুরুন্নবী (আনারস), আ. মালেক (চেয়ার), সাইদুর রহমান (মাছ) এবং আবুল হাশেম লড়ছেন (বই) প্রতীক নিয়ে।

এছাড়া কলেজ পর্যায়ে দুটি সদস্য পদের বিপরীতে লড়ছেন ৩ প্রার্থী। ৩ প্রার্থীর মধ্যে আবুল বাশার (ছাতা), সুজাত আলী পেয়েছেন (মই) এবং সৈয়দ তিতুয়ার রহমান লড়ছেন (বৈদ্যুতিক পাখা) প্রতীক নিয়ে। এছাড়া স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে মিলিয়ে একটি মহিলা সদস্য পদের বিপরীতে লড়ছেন দুজন প্রার্থী। ২ প্রার্থীর মধ্যে সুমাইয়া পারভীন বেবী (আম) প্রতীকে এবং ঝরনা খাতুন লড়ছেন (কাপ-পিরিচ) প্রতীক নিয়ে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের যোগ্যতা নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করেছেন এলাকার সচেতন অভিভাবক মহল।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশকিছু অভিভাবক বলেছেন এটি একটি কলেজিয়েট স্কুল। এখানে যারা অভিভাবক সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের মধ্যে দু-একজন ছাড়া বাকিদের কেউই হাই স্কুলের গণ্ডি পেরোইনি। প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডি না পেরোনোও আছে দু-একজন। তারা কি বুঝে ভোট করছেন বুঝে আসে না। কলেজিয়েট স্কুলের মতো প্রতিষ্ঠানে সদস্য হতে হলে নুন্যতম যোগ্যতা থাকা দরকার।

সাংবাদিক শামসুজ্জোহা পলাশ বলেছেন, মুনসুর আলী একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, আবুল হাশেম সেও সাবেক জনপ্রতিনিধি। খালেক, নুরনবী তারা কমবেশী শিক্ষিত এবং সচেতন। এদের মেনে নেয়া যায়। কিন্ত এমন দু-একজন আছে যারা প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডিও পেরোইনি। তাদের একটি কলেজিয়েট স্কুলে ভোট করার সাহস হলো কি করে বুঝলাম না। দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সঙ্গীত শিক্ষক ওস্তাদ আসমত আলী বিশ্বাস তিনিও একমত পোষন করে বলেছেন, দামুড়হুদা উপজেলা শহরের একমাত্র নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এটি। বিধায় শিক্ষিত ব্যক্তিদেরই স্কুলের দেখভালের দায়িত্বে আসা উচিত। যারা আসতে চাচ্ছেন তাদের মধ্যে দু-একজন ছাড়া কেউই যোগ্য ব্যক্তি বলে অন্তত আমি  মনে করি না। এলাকার অনেক অভিভাবক আছেন যারা নিজেদের সচেতন বলে দাবি করেন অথচ ভোটে আসেন না। আবার সমাজে এমন কিছু শিক্ষিক ব্যক্তি আছেন তাদের অবস্থা মুখে শেখ ফরিদ কিন্ত বগলে ইট। স্কুল প্রতিষ্ঠানের ক্ষতির জন্য আমি ওই সমস্ত অভিভাবকদের কেই দায়ী করবো। আগামিতে যারা শিক্ষিত এবং সচেতন বলে দাবি করেন তারা অবশ্যই ভোটে আসবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রিয় পাঠক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষিত এবং সচেতন ব্যক্তিদের দ্বারাই পরিচালিত হওয়ার কথা। কিন্ত বিগত কয়েক বছর ধরেই একটি বিষয় লক্ষনীয় হয়ে উঠেছে যে, সমাজে যারা শিক্ষিত এবং সচেতন ব্যক্তি রয়েছেন তাদের মধ্যে এক ধরনের অনীহা কাজ করছে। তারা শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই নয় সমাজের যে কোনো কৃষ্টি কালচারের সাথে যুক্ত হতে চাচ্ছেন না। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে উপনীত হয়েছে। অবশ্যই এর কারণ খুঁজে বের করা উচিত। আগামী প্রজন্মের স্বার্থেই স্কুল প্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বাঁচাতে আজকের উদীয়মান শিক্ষিক যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। সমাজ তথা দেশের মঙ্গলের জন্য এই গুরু দায়িত্ব তাদেরকেই কাঁধে তুলে নিতে হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।