দামুড়হুদা-জীবননগরে হাশেম রেজার আনন্দর‌্যালি ও জনসভা

জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐত্যিহাসিক ভাষণকে ইউনেস্কো ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’ এ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’র স্বীকৃতি প্রাপ্তিতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সহসম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হাশেম রেজার উদ্যোগে দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলাব্যাপী আনন্দর‌্যালি ও জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাশেম রেজার বাড়ি সংলগ্ন দলীয় অফিস থেকে গতকাল শনিবার আনন্দর‌্যালি বেলায় ২টায় শুরু হয়ে কার্পাসডাঙ্গা, দামুড়হুদা, দর্শনা ও জীবননগর শহর ঘুরে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হরিহরনগর দলীয় অফিসের সামনে শেষ হয়। সেখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ওমিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় হাশেম রেজা বলেন, আজ বাংলাদেশের ললাটে বিশাল অর্জন অঙ্কিত হয়েছে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহসিক ভাষণকে ইউনেস্কো ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’ এ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’র স্বীকৃতি দিয়েছে। সারা দেশের মানুষের জন্য সমগ্র বাঙালি জাতির জন্য এটা এক অনন্য অর্জন। এ কারণে সবাই আজকের এই খুশির দিনে আনন্দ করছে, সেই আনন্দে শরিক হওয়ার জন্য আমিও আমার এলাকার দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে আনন্দ র‌্যালি করে সেই খুশিকে ভাগাভাগি করে নিলাম। এরপর চুয়াডাঙ্গার দলীয় রাজনীতিতে কোন্দল, গ্রুপিংয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আত্মত্যাগের মহান আদর্শের জ্বলন্ত প্রমাণ বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হয়ে কিভাবে এ দলে কোন্দল হয়, গ্রুপিং থাকে সেটা আমি বুঝি না। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের প্রতিটি মহল্লা, গ্রাম, হাট-বাজার ও জনপদে গিয়েছি, শুনেছি মানুষের কান্না, আর্তনাদ আর হাহাকার। তারা জানতে চায় গত ৯ বছরে কি পেলাম, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, মসজিদ-মন্দির-মাদরাসা, এতিমখানার কোথাও উন্নয়নের ছিটেফোটাও লাগেনি। এ সরকার সারা দেশে এত উন্নয়ন করেছে কিন্তু আমাদের এলাকা কেন অবহেলিত, কেন আমাদের এমপি এলাকায় আসেন না, মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা শোনেন না। আমি এর জবাব দিতে পারিনি।
জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা সরফরাজ উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম, জাকির হোসেন, বিল্লাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন দিলু, মিজানুর রহমান, মফি মাস্টার, জামির হোসেন, মহিবুর ইসলাম, তৌফিকুর রহমান ছাত্রলীগ নেতা আ. কাদের লিটন, এইচএম হাকিম প্রমুখ। সভার শুরুতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সদ্যপ্রয়াত হারেজ উদ্দীনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রেসবিজ্ঞপ্তি