দামুড়হুদা কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৯ মেম্বার অনাস্থায় অনড়

এলজিএসপির বরাদ্দকৃত ১০ লাখ টাকার উন্নয়ন কাজ অনিশ্চয়তার মধ্যে

কুড়লগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলা কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের বিতর্কিত ও বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের বিরূদ্ধে দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও অপকর্মের বিরুদ্ধে ফুসে উঠে ৯ মেম্বার গত ২২ ফেব্রুয়ারি পরিষদের নিজস্ব হলরুমে আয়ুব মেম্বারের আহ্বানে একত্রিত হয়ে চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার সিদ্ধান্তস্থির করেন। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটে।

ইউপি সদস্যরা জানান, তারই ধারাবাহিকতায় ১০ মার্চ দুনীর্তি, স্বজনপ্রীতিসহ ৫টি অভিযোগের চিত্র তুলে ধরে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত স্বারকলিপি প্রদান করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ মার্চ উপজেলা কর্মকর্তা তদন্তের স্বার্থে অভিযোগের স্বপক্ষে তথ্য প্রমাণসহ স্ব-শরীরে গত ৩১ মার্চ বিকেল ৩টার দিকে পরিষদে হাজির হওয়ার দাপ্তরিকভাবে লিখিত নির্দেশ দেয়া হয়। তদন্ত করেন। প্রাথমিক তদন্তে চেয়ারম্যনের বিরুদ্ধে আনিত যাবতীয় অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অভিযোগকারী মেম্বারদের নিকট সকল অপকর্মের কথা অকপটে স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চান বলে জানা যায়। কয়েকজন সদস্য অভিযোগ তুলে নিলেও বাকিরা নিজ অবস্থানে অনড় থেকে নির্বাহী কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করেন।

উল্লেখ্য, নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন অবিলম্বে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করার প্রতিশ্রুতি দেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের এলজিএসপি প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ৯ নয় লাখ ৯২ হাজার ১শ ২৪ টাকার বিভাজনের জন্যে সকাল ১০টার দিকে জেলা ফেসিলেটর পরিষদের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে নির্দেশ দেন পরিষদের সকল মেম্বারকে উপস্থিত করে বরাদ্দকৃত টাকা বিভাজন করার জন্য।  চেয়ারম্যানের ডাকে ১২ জন মেম্বারের মধ্যে ৯ জন অনুপস্থিত থাকে। অনেক চেষ্টা তদবির করেও ৯ জনকে আনা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে। এরই প্রেক্ষিতে ইউনিয়নবাসীর উন্নয়নে এলজিএসপি প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ৯ নয় লাখ ৯২ হাজার ১শ ২৪ টাকা বন্টন করা সম্ভব হয়নি।