দামুড়হুদায় রেডিমেট ফার্ণিচার বিক্রি করতে এসে ময়মনসিংহের ফার্ণিচার ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু!

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার বিষ্ণুপুরে রেডিমেট ফার্ণিচার বিক্রি করতে আসার ৫ দিনের মাথায় সামছদ্দিন মাতুব্বর (৫৫) নামের এক ফার্ণিচার ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার চামেয়াদী গ্রামের মৃত ফয়জদ্দিন মাতুব্বরের ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিষ্ণুপুর ভাই মারা খালের মুখে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসী পুলিশে খবর দেয়। দামুড়হুদা থানা পুলিশ সকাল ৯টার দিকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়। দুপুরে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে লাশ নিহতের স্বহজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

জানা গেছে, ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার চামেয়াদী গ্রামের মৃত ফয়জদ্দীন মাতব্বরের ছেলে সামছদ্দিনসহ ওই এলাকার কয়েকজন রেডিমেট ফার্ণিচার বিক্রির উদ্দেশে দিন পাঁচেক আগে দামুড়হুদায় আসেন। সামছদ্দিন কিছু রেডিমেট ফার্ণিচার নিয়ে বিষ্ণুপর বাজারে এবং অন্যরা ডুগডুগি পশুহাট এলাকায় যায়। বিষ্ণুপুর বাজারে অবস্থানরত ফার্ণিচার ব্যবসায়ী সামছদ্দিন গতকাল মঙ্গলবার ভোরে বিষ্ণপুরস্থ ভাই মারা খালের মুখে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যান। সকালে স্থানীয় লোকজন প্রাতঃভ্রমনে বেরিয়ে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই খায়রুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। দুপুরে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর হাসপাতালমর্গে পাঠান। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে নিহতের চাচাতো দোলাভাই আয়রাল হকের কাছে লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। এ ঘটনায় লাশ গ্রহণকারী আয়নাল বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।

দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ বলেছেন, মৃত ব্যক্তির বাড়ি যেহেতু এলাকার বাইরে। তাছাড়া সে ৫ দিন আগে এলাকায় এসেছে। সবদিক বিবেচনা করেই লাশের ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই জানা যাবে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু না কি তাকে কেউ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তবে এলাকার সাধারণ মানুষের ধারণা তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন।