দামুড়হুদায় ডায়মন্ড ইনস্যুরেন্সে কর্মরত কর্মীদের বেতন না দিয়ে তোপের মুখে এমডি

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় ডায়মন্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সে মোটা অঙ্কের বেতনের চাকরির প্রলোভনে আশা নিরাশার দোলাচলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এলাকার অর্ধশতাধিক বেকার যুবক-যুবতী। মাস শেষে বেতন না দিয়ে টাকা নিয়ে কৌশলে সটড়ে পড়ার সময় ক্ষুব্ধ কর্মীরা কোম্পানির সহকারী পরিচালককে আটকে রেখে টাকা আদায়ের চেষ্টা করলেও শেষমেষ তা সফল হয়নি। ক্ষুব্ধ কর্মীরা তাকে পুলিশের তুলে দিলেও পরে বেতন দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে তারাই থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ডায়মন্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের উপজেলা কার্যালয়ে ওই ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, গত ১৮ মে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অফিস ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে ডায়মন্ড লাইফ ইনুস্যুরেন্স নামের প্রতিষ্ঠানটি। অফিস নেয়ার পর প্রতিষ্ঠানের এএমডি পরিচয়ে দামুড়হুদা অফিসের দায়িত্বে থাকা রফিকুল ইসলাম মোট ৭৩ জনকে নিয়োগ দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন। এর মধ্যে বিএম পদে ২১, বিসি পদে ৭, ইউএম পদে ২৫, এসি পদে ১ এবং এফএ পদে ১০ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগ দেয়ার সময় তাদের মোটা অঙ্কের বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ৭৩ জনের কাছ থেকে জামানত হিসেবে নেয়া হয় ৪ লাখ ২ হাজার টাকা। শুরু হয় সদস্য সংগ্রহের কাজ। মাস শেষে কর্মীরা বেতনের কথা বললে তিনি অর্ধেক বেতন পরিশোধ করেন এবং বাকী টাকা পরে দেয়া হবে বলে কর্মীদের জানান। তিনি গতকাল শনিবার দামুড়হুদা অফিসে আসেন এবং কালেকশনের টাকা নিয়ে কৌশলে সটকে পড়ার চেষ্টা করলে ক্ষুব্ধ কর্মীরা তাকে আটকে রাখে। নানা বাকবিতাণ্ডার এক পর্যায়ে তাকে তুলে দেয়া হয় পুলিশের হাতে। পরে বেতনের প্রতিশ্রুতিতে তাকে  থানা থেকে ছাড়িয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ বলেছেন, যারা পুলিশের সোপর্দ করেছিলো পরে তারাই ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে।