দামুড়হুদায় উৎসবমুখর পরিবেশে পাইলট গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচন সম্পন্ন

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যদিয়ে পাইলট গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্যপদে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। স্কুল পর্যায়ে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের মধ্যে ইমান আলী ৫৪১ ভোট পেয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া অপর বিজয়ী প্রার্থী আবুল হাশেম পেয়েছেন ৩১৩ ভোট। কলেজ পর্যায়ে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের মধ্যে সৈয়দ তিতুয়ার রহমান টুকু সর্বোচ্চ ৫১ ভোট এবং সুজাত আলী নেদা ৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে সুমাইয়া পারভীন বেবী ১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। নির্বাচনকে ঘিরে স্কুলের সামনের সড়ক থেকে শুরু করে পুরো এলাকা ছিলো প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকদের পদচারণায় মুখোরিত। একজন ভোটার স্কুলের সামনে পেছানো মাত্রই প্রার্থীরা ছুটে যান তার কাছে। হাত ধরে টেনে হেঁচড়ে কাছে নিয়ে কানে কোনে কেউ বলছে ভাই ফুটবল মার্কা, কেউ বলছে বই, কেই বলছে আনারস আবার কেউ বলছে মাছ প্রতীকে ভোটটি দিয়েন ভাই। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ১ হাজার ২৭৩ জন। এরমধ্যে পোল হয়েছে ৮২২ ভোট। বাতিল হয়েছে ৪১ ভোট। স্কুল পর্যায়ে ২টি সদস্য পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্ধী ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ইমরান আকাশ (ইমান) ফুটবল মার্কায় সর্বোচ্চ ৫৪৩ ভোট পেয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে প্রথম হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। অপর বিজয়ী প্রার্থী আবুল হাশেম বই প্রতীকে পেয়েছেন ৩১৩ ভোট।  পরাজিত প্রার্থীদের মধ্যে আনারস প্রতীকে এম. নুরুন্নবী পেয়েছেন ২১০ ভোট, মাছ প্রতীকে সাইদুর রহমান পেয়েছেন ১৮১ ভোট, টিউবওয়েল প্রতীকে মুনসুর আলী পেয়েছেন ১১২ ভোট এবং চেয়ার প্রতীকে আ. মালেক পেয়েছেন ৭৯ ভোট।

কলেজ পর্যায়ে ২টি পুরুষ সদস্য পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্ধী ৩ জন প্রার্থীর মধ্যে সৈয়দ তিতুয়ার রহমান টুকু বৈদ্যূতিক পাখা প্রতীকে সর্বোচ্চ ৫১ ভোট এবং সুজাত আলী নেদা মই প্রতীকে ৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। পরাজিত প্রার্থী আবুল বাশার ছাতা প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ১৬ ভোট।

এছাড়া স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে সংরক্ষিত ১টি মহিলা সদস্য পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্ধী ২ জন প্রার্থীর মধ্যে সুমাইয়া পারভীন বেবী আম প্রতীকে সর্বোচ্চ ১৮ ভোট পেয়েছেন নির্বাচিত হয়েছেন। পরাজিত প্রার্থী ঝরনা খাতুন কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ ভোট। নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার সাহা। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার রাফিজুল ইসলাম, সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আরিফুল আজম, জুড়ানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একরামুল হক এবং মোক্তারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বখতিয়ার উদ্দীন বকুল। পোলিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন শিক্ষক আব্দুল লতিফ, রফিকুল ইসলাম, শামীম আক্তার, উজ্জ্বল হোসেন ও খোকন।