দামুড়হুদার রুদ্রনগরের দু শিশু মহলিা পাচারকারীচক্রের কবলে

 

ট্রেনে জিআরপি সদস্যদের জন্যেই মায়ের বুকে ফিরলো ওমর জীবন

দর্শনা অফিস: দর্শনাসহ আশপাশ এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে অপরিচিত মহিলা ও পুরুষের আনাগোনা বেড়েছে। সন্দেহজনকরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে ধারণা করা হলেও এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি কেউ। এছাড়া বেশ কদিন ধরেই দর্শনাসহ আশপাশ এলাকায় অপহরণ এবং নারী ও শিশু পাচারের আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ আতঙ্কের মধ্যেই দামুড়হুদার রুদ্রনগরে স্কুল পড়ুয়া ২ শিশুকে পাচারের অপচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে মহিলা পাচারকারীচক্র। ট্রেনের জিআরপি সদস্যদের দূরদর্শিতায় শিশু দুজন ফিরতে পেরেছে মায়ের বুকে।

গতপরশু বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে দামুড়হুদার হাউলীর ইউনিয়নের রুদ্রনগর উঠতিপাড়ার ওয়াসিম আলীর ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে জীবন ও একইপাড়ার কোমর আলীর ২য় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে ওমর ফারুক বাড়ির নিকটবর্তী সড়কে খেলা খেলছিলো। এ সময় বোরকা পরিহিত দু মহিলা স্কুটারযোগে এসে ওমর ও জীবনের সামনে থামে। এ সময় মহিলা দুজন গাজির দোয়া নামক স্থানে চিনিয়ে দেয়ার জন্য শিশু দুজনকে বললে তারা শখের বসেই স্কুটারে চড়ে বসে। তারপর থেকেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পরে জীবন ও ওমর। দর্শনা হল্টস্টেশন থেকে ট্রেনযোগে খুলনার দিকে পাচার করে নেয়া হচ্ছিলো জীবন ও ওমরকে। বারোবাজার স্টেশনে পৌঁছে জ্ঞান ফিরে আসে জীবনের। এ সময় জীবন কান্নাকাটি শুরু করলে এগিয়ে যান ট্রেনের জিআরপি সদস্যরা। সুযোগ বুঝে কৌশলে সটকে পড়ে দু মহিলা পাচারকারী। শিশু দুজনের কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শুনে তাদের নেয়া হয় খুলনা জিআরপি ফাঁড়িতে। পরে গতকাল শুক্রবার সকালে দর্শনামুখি ট্রেনযোগে শিশু দুজনকে নেয়া হয় দর্শনায়। জীবন ও ওমরের পরিবারে খবর দেয়া হলে স্টেশন জিআরপির কাছ থেকে সন্তানদের গ্রহণ করেন পিতা-মা। পাচারকারীচক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবি তুলেছে এলাকাবাসী।