দামুড়হুদার ধান্যঘরা সরকারি প্রাইমারি স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে বিভিন্ন কাজের অজুহাতে দফায় দফায় টাকা আদায়ের অভিযোগ

 

কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: বিভিন্ন খরচের দোহাই দিয়ে দামুড়হুদার ধান্যঘরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়া স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে বিভিন্ন রকম কাজকাম করিয়ে নেন। এ ব্যাপারে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাকরা ফুঁসে উঠেছেন। তারা গতকাল বিদ্যালয় ঘেরাও করেন এবং অভিযুক্তদের বিভাগীয় শাস্তি দাবি করেন।

অভিভাবক মহল অভিযোগ করেছে, দামুড়হুদার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ধান্যঘরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের প্রায়ই ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ১০/২০ টাকা করে নিয়ে আসতে বলেন। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বাড়িতে গিয়ে জোরাজুরি করে টাকা নিয়ে আসে। গত শনিবার বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ২০ টাকা করে নিয়ে আসতে বলেন। গতকাল ৫ম শ্রেণির এক দরিদ্র ছাত্রী টাকার জন্য বাড়িতে কান্নাকাটি শুরু করে। শেষমেশ ধান বিক্রি করে তার অভিভাবক টাকা দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অভিভাবকেরা। তারা সমবেত হয়ে বিদ্যালয়ের অফিস ঘেরাও করে জানতে চান কিসের জন্য দফায় দফায় টাকা চাওয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম বলেন স্কুলের নষ্ট বেচিন মেরামতের জন্য এ দফায় ২০ টাকা করে চাওয়া হয়েছে। স্কুলের বেচিন নষ্ট হলে কেন শিক্ষার্থীরা টাকা দেবে? এ প্রশ্ন করলে প্রধান শিক্ষক আমতা আমতা করেন। অভিভাবকেরা আরো অভিযোগ করেন ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে ঘর মুছিয়ে নেয়া হয়। মহিলা শিক্ষকদের ছেলে-মেয়ে কোলে নিতে বলেন এবং গালে তুলে খাইয়ে দিতেও বলেন। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল গফুর মাথাভাঙ্গাকে বলেন আমাদের কিছু না জানিয়েই শিক্ষকেরা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা তুলেছেন। তিনি এ জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।