দামুড়হুদার ঠাকুরপুর সীমান্তে ধুড়পাচার আসছে ভারতীয় চোরাই মোটরগাড়ি

 

কার্পাসডাঙ্গা সংবাদদাতা: দামুড়হুদার ঠাকুরপুর সীমান্ত দিয়ে কথিত দালাররা দেদারচ্ছে চালিয়ে যাচ্ছে ধুড়পাচার। যার বিনিময় চোরাকারবারীরা ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের চোরাই মোটরসাইকেলসহ মদ, ফেনসিডিল ও মেশিনের মালামাল রাতের আঁধারে পারাপার করে বিক্রয় করছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। স্থানীয় বিজিবি ও থানার কথিত দালালরা তাদের নাম করে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময় সীমান্ত চোরাচালানীরা এসব কার্যক্রম নির্বিগ্নে চালিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। এসব চোরাকারবারীরা আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর হাতে আটক হলেও অদৃশ্য শক্তির বলে বেরিয়ে এসে আবার অবৈধ কাজে জড়িয়ে পড়ছে।

সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়ানের ঠাকুরপুর সীমান্তে বিজিবির  কথিত দালাল কাটি, আবু আলী, কাইজার আলী, ভুট্ট, মালেক, উজ্জ্বল, জাহাঙ্গীর ও থানা পুলিশের শহিদুল, ফটিক, আবদুল হাই, ইউনুচ, হাকিম, হারুন গুলজার, ছাব্দার, জাহাঙ্গীরসহ অনেকেই চোরাকারবারীর সহযোগিতা করে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। সীমান্ত ধুড়পাচার কারীরা জন প্রতি ২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। এর মধ্যে বিজিবির নামে কথিত দালালরা নেয় ৫শ টাকা। আর থানা পুলিশের দালালরা রাখে ৩শ টাকা। উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামের কেয়ামত ফকিরের ছেলে রমজান আলী, নজিরের ছেলে তারিক, রমজান মোল্লার ছেলে ফটিক, ইদ্রিস আলীর ছেলে মহাসিন, ফকিরের ছেলে আশিক এবং সাহেব কল্লার ছেলে হিরোকসহ অনেকেই ভারতীয় চোরাই মোটরগাড়ির ব্যবসা রমরমাভাবে চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া য়ায়। ভারতীয় মোটরগাড়ি এরা কমদামে কিনে রাতের আধাঁরে প্রসাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পারাপার করে। কথিত দালালরা মোটরসাইকেল প্রতি বিজিবির নামে ৬ হাজার টাকা ওথানা পুলিশের নামে ৭ হাজার হারে আদায় করে। এসব গাড়ি পাচার করে আসপাশ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে চোরাকারবারীরা। এই সীমান্ত দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ভারতীয় চোরাই মোটরগাড়িসহ মদ, ফেনসিডিল, গাঁজা, বাইসাইকেল, মেশিনের যন্ত্রপ্রতি পাচার হয়ে আসছে নির্বিগ্নে আমাদের দেশে।

এদিকে ঠাকুরপুর সীমান্তে ৯২ নং মেন পিলার থেকে ৮৯ নং মেন পিলার প্রায় ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত কোনো কাটাঁতারের বেড়া না থাকায় চোরাকারবারীর অবৈধ ব্যবসা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তাই সীমান্তে এসব চোরাকারবারীরা ও প্রশাসনের কথিত দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্তা নিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার ও ৬ বিজিবির অধিনায়ক মহোদয়কে অনুরোধ জানিয়েছে সচেতনমহল।