দামুড়হুদার কুড়ুলগাছি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন চকচকে : বেতন কড়কড়ে

শুধু নেই চিকিৎসাসেবা : স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ইউনিয়নবাস

 

দর্শনা অফিস/কুড়লগাছি প্রতিনিধি: দেশের দুস্থ জনসাধারণের চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ব্যায় করছে কাড়ি কাড়ি টাকা। সেইসাথে গ্রহণ করেছে নানামুখি পদক্ষেপ ও উন্নত প্রযুক্তি। কিন্তু কুড়ুলগাছি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনে তার উল্টো। মুখ থুবড়ে পড়েছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন আছে, আছে চিকিৎসকের পদ। কিন্তু নেই চিকিৎসক। মাসে মাসে বেতন ভাতা তুললেও দেখা মেলে না চিকিৎসক আবুল কালাম আজাদের। প্রতিষ্ঠানের প্রধান আবুল কালাম আজাদের অনুপস্থিতি ও দায়িত্বে অবহেলায় সাধারণ কর্মচারীদের সুযোগ করে দিয়েছে। যার কারণে অন্যরাও ঠিকমত অফিস করেন না। চিকিৎসক না থাকায় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ইউনিয়নবাসী। দেখার কি কেউ নেই? এই প্রশ্নটি বারবার উচ্চারিত হচ্ছে এলাকাবাসীর মুখে।

দামুড়হুদা উপজেলা কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করা হয়েছিলো ১৯২১ সালে। সে সময় এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবার কথা ভেবেই কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করেন তৎকালীন দানশীল মহিলা কৌলাশ কামীনি রায়। সে থেকেই চলছে চিকিৎসা সেবা। নড়বড়ে কিছুদিন আগেও ওই কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবার মান উন্নত থাকলেও বর্তমানে একেবারেই লাজুক অবস্থায় পরিণত হয়েছে। নড়বড়ে ভবনে গত কয়েক বছর আগেও চিকিৎসা সেবার মান বেশ উন্নত ছিলো। অবাক হলেও সত্য সরকার গত বছরে ভবনটি ভেঙে নতুনভাবে নির্মাণ করেছে। এতে ব্যয় করেছে প্রচুর অর্থ। আধুনিক ভবন নির্মাণের পর থেকে চিকিৎসা সেবার সকল ব্যবস্থাও করা হয়েছে আধুনিকায়ন। অথচ চিকিৎসা ক্ষেত্রে ঘটেনি কোনো উন্নয়ন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনে চিকিৎসকের থাকার জন্য রয়েছে কোয়ার্টারের ব্যবস্থা। কেন কি কারণে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল কালাম আজাদ এ কমপ্লেক্সে থাকেন না, তা জানেনা কেউ। তবে তার নাকি রয়েছে খুঁটির জোর। কুড়ুলগাছি অজপাড়া গা আর বাড়তি আয় নেই বলেই কি এ কমপ্লেক্সে আবুল কালাম আজাদের ভাল্লাগে না? যার কারণে এমএলএসএস রাবেয়া খাতুন রোগীদের একমাত্র ভরসা। অথচ চিকিৎসক আবুল কালাম আজাদ মাসে মাসে বেতন ভাতা উত্তোলন করেন এ কমপ্লেক্স ভবনের দ্বায়িত্বে থাকার সুবাধেই। এদিকে চিকিৎসক আবুল কালাম আজাদ না থাকায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অতীত সুনাম যেমন হচ্ছে ক্ষুন্ন, তেমনিভাবে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী। সরকার কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করলেও চিকিৎসার ফলাফল শূন্যের কোটায়। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের সুদৃষ্টি কামনা করেছে ভুক্তভোগি এলাকাবাসী।