দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা এলাকায় চলছে হাতির চাঁদাবাজি

 

শরীফ রতন: হাতীকে ভয় পায় না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। আর সেই হাতি যদি দাড়ায় পথ আগলে! তাহলে? শুঁড় বাড়িয়ে দিচ্ছে চাঁদার জন্য। টাকা না দিলে পথ ছাড়ছে না। বেশ কয়েকদিন ধরে দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা এলাকায় এভাবেই হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এ হাতি দিয়ে মাহুত নির্বিঘ্নে করে যাচ্ছে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি। এলাকার রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন দোকান-পাটে কৌশলে হাতি দিয়ে ভয়-আতঙ্ক সৃষ্টি করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ব্যাবসার ধরণ অনুযায়ী প্রত্যেককে টাকা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।

গতকাল সোমবার দেখা গেছে বড় একটি হাতি নিয়ে এক লোক দোকানে  দোকানে চাঁদা তুলছে। ওই ব্যক্তি হাতির পিঠে বসে হাতিটিকে  দোকানের সামনে দাঁড় করালেই হাতি তার শুঁড় লম্বা করে দোকানের ভেতর ঢুকিয়ে দিচ্ছে। ওটার মুখে টাকা না  দেয়া পর্যন্ত শুঁড় নাড়াতে থাকে। দোকানিরা ভয়-আতঙ্কে বাধ্য হয়ে ওটার মুখে টাকা তুলে দিচ্ছে। এইভাবে দোকানে দোকানে গিয়ে দোকানের  ভেতর শুঁড় ঢুকিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে টাকা দিতে বাধ্য করে। এলাকার একাধিক দোকানি বলেন, এই হাতিটি দিয়ে ভয়-আতঙ্ক সৃষ্টি করে  কৌশলে চাঁদাবাজি করছে। মাহুত হাতির পিঠ থেকে নামছে না। এভাবে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন দোকানে গিয়ে হাজার হাজার টাকা চাঁদা তুলছে। শুধু কী দোকানে? মাঝে মাঝে দাঁড়াচ্ছে রাস্তা আগলে। যার কারণে পথচারী নারী-পুরুষ সবাই ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এভাবে হাতি দিয়ে ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি  মোটেই কাম্য নয়। হাতী দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য প্রশাসনে কাছে জোরদাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।