দামুড়হুদার কলাবাড়ী গ্রামে স্বামী-স্ত্রী বিরোধ : অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রীকে তালাক

স্বামী, শ্বশুরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা!

 

দামুড়হুদা অফিস: দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের কলাবাড়ি গ্রামে স্বামী-স্ত্রী বিরোধের জেরে ৫ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে স্বামী। স্ত্রী বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় স্বামী, শ্বশুরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে বলে জানা গেছে। এ মামলায় পুলিশ শ্বশুরকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে।

জানা গেছে, ২০০০ সালে কলাবাড়ি গ্রামের রমজান আলীর মেয়ে সাগরিকার সাথে বাড়ির পাশে ফকির চাঁদের ছেলে লিটনের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ১টি পুত্রসন্তান হয়। বিয়ের পর কাজের সন্ধানে স্বামী লিটন সৌদি আরবে যায়। এরই মধ্যে সে দু’বার ছুটিতে বাড়ি আসে। ৩য় বার বাড়ি এলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। গত ২৩ জুন স্বামী লিটন তার স্ত্রী সাগরিকাকে তালাক দেয়। তালাকের কথা গোপন রেখে স্বাভাবিকভাবে ঘর সংসার শুরু করে। ৩ নভেম্বর স্ত্রী সাগরিকা জানতে পারে তাকে স্বামী তালাক দিয়েছে। সাগরিকা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ লিটনের পিতা ফকির চাঁদকে আটক করে গতকালই বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেছে। লিটন জানায় বিদেশ থেকে ছুটিতে বাড়ি আসার পর টাকা-পয়সা, পাসপোর্ট, ভিষা, বিমানে টিকিট স্ত্রী সাগরিকার কাছে রাখে। সাগরিকা তার স্বামীকে বিদেশে যেতে নিষেধ করে। স্বামী না শুনলে সুযোগ বুঝে এসব নিয়ে পিতার বাড়িতে চলে যায়। এনিয়ে পক্ষদ্বয়ের বিরোধ সৃষ্টি হয়। লিটন তার পাসপোর্ট ভিসা ফেরত পাওয়ার জন্য থানাসহ বিভিন্ন মহলে দেনদরবার করেও সেগুলি ফেরত পায়নি। সাগরিকা চুয়াডাঙ্গা আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে একটি মামলাও দায়ের করে। এসব কারণে তাদের দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে।