দাবি না মানলে কর্মবিরতি : ইবি প্রশাসনের নিকট শিক্ষক সমিতির ১১ দফা দাবি

 

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রশাসনের নিকট এগারো দফা দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার মাধ্যমে শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট এ দাবিগুলো পেশ করেছেন। কিছু নির্দিষ্ট দাবি না মানা হলে কর্মবিরতিতে যাবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে কলা অনুষদের ৪২৭ নং কক্ষে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট কয়েকটি দাবি জানান। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবি হলো- গত ২ ফেব্রুয়ারি কর্মকর্তারা তাদের দাবি আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ শিক্ষকদেরকে অবরুদ্ধ করার যে ঘটনা ঘটিয়েছে তার তদন্ত কমিটি আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা এবং সাত কর্মদিবসের মধ্যে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। অন্যথায় আগামী ২০-২২ মার্চ কয়েক ঘণ্টা ক্লাস-পরীক্ষাসহ কর্মবিরতি এবং দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী ২৭ মার্চ থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া পূর্বঘোষণা ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিডিউলকৃত পরিবহন বন্ধ করলে তার পরদিন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করবেন। এছাড়া শিক্ষকদের অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে ছিলো- সকল স্তরে শিক্ষকদের পদোন্নতির সময়কাল এক বছর কমানো এবং প্রাপ্য তারিখ হতে পদোন্নতি কার্যকর করা, সরকার ও ইউজিসি প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি নীতিমালা হালনাগাদ করার জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন করা, স্থায়ী-অস্থায়ী যেকোনো চাকরির ক্ষেত্রে শিক্ষকদের সাত বছরে স্ব-বেতনে শিক্ষাছুটি দেয়া, গবেষণা ভাতা বাবদ প্রত্যেক শিক্ষককে মাসিক পাঁচ হাজার টাকা প্রদান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরুপ পরীক্ষা-২০১৫ হতে পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রমের পারিশ্রমিক দ্বিগুণ করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অফিস প্রধানের পদ শূন্য হলে ওই পদে নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত কোনো অধ্যাপককে ওই পদে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ প্রদান করা, শিক্ষকদের যেকোনো আবেদন ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিষ্পত্তি করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে জানানো, কোনোভাবেই পিপি কর্তন না করে মার্চ-২০১৬ মাসের বেতন-ভাতার সাথে পূর্বের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ৭৩ জন শিক্ষকের বেতন বৈষম্য সংক্রান্ত ব্যক্তিগত ফাইলের সমস্য সমাধান করে পূর্বের দু মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন দাবিগুলোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।