দর্শনা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক শান্তর সাথে স্কুলছাত্রীর পরীকয়ার কারণেই ঘর ছেড়েছে স্ত্রী-কন্যা

পরিচালনা কমিটির সভায় তদন্ত কমিটি গঠন : শাস্তির দাবি

 

দর্শনা অফিস: দর্শনা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় আলোচিত শিক্ষক শান্তর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তের জন্য গঠন করা হয়েছে কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। এখনো চাকরিতে বহাল তবিয়তে রয়েছেন শান্ত। শান্তর শাস্তির দাবি তুলেছে অভিভাবক মহল।

অভিযোগে উঠেছে, দর্শনা পৌর এলাকার মোবারকপাড়ার খোদা বক্সের ছেলে দর্শনা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম শান্ত ২০০২ সালের দিকে বিয়ে করেন কুষ্টিয়া ভেড়ামারা এলাকার ফারাকপুরের ইয়াসিন আলীর মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার কনাকে। অভিযোগ উঠেছে, বিয়ের পর থেকেই শান্ত ও তার পরিবারের সদস্যরা কারণে-অকারণে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন শুরু করে কণার ওপর। শান্ত ঘরের বাইরে যাওয়ার আগে কণাকে ঘরে রেখে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে যাওয়াটা ছিলো নিয়মিত নিয়ম মাফিক রুটিন। শান্ত তার বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে পরকীয়া প্রেমে মত্ত থাকায় জটিলতা আরো বাড়ে। শান্ত বিবাহিত জেনে এক পর্যায়ে স্কুলছাত্রী শিক্ষক শান্তর কাছে কোচিং করা বন্ধ করে দেয়। শিক্ষক শান্তর কারণেই শেষ পর্যন্ত স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিতে হয় স্কুলছাত্রীকে। শান্তকে পরকীয়া প্রেমের পথ থেকে সরিয়ে আনতে এবং স্ত্রীর ওপর অত্যাচার-নির্যাতন বন্ধ করতে কয়েক দফা বিচার সালিস হলেও মেলেনি কোনো সুরাহা।

এদিকে শান্ত মাস্টারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ স্ত্রী কনা অবশেষে ধৈর্য্যের বাধ ভাঙে। শান্তর বিরুদ্ধে বাধ্য হলো মুখ খুলতে। গত ২২ অক্টোবর একমাত্র মেয়ে সিলভীকে বুকে নিয়ে কনা শেষ পর্যন্ত শান্তর ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়। স্কুলছাত্রীর সাথে শান্তর পরকীয়া প্রেমের ঘটনায় শুরু হয় আলোচনা-সমলোচনা। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতেই দর্শনা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল শনিবার বিকেল ৩টার দিকে। পর্ষদের সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শান্তর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য গঠন করা হয়েছে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি। পরিচালনা পর্ষদের সদস্য শফিকুল আলমকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অন্যরা হলেন সদস্য মোসলেম জোয়ার্দ্দার ও সহকারী প্রধান শিক্ষক হাসমত আলী। এ কমিটি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির বলেছেন, প্রতিবেদনে শান্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে শান্তর বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীর সাথে পরকীয়া প্রেমের ঘটনা ফাঁস হয়েছে প্রায় মাস খানেক আগে। এ দীর্ঘসময় শান্ত কীভাবে চাকরিতে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। শান্তর শাস্তির দাবি তুলেছে অভিভাবকমহল। এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক শান্ত নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।