দর্শনা আনোয়ারপুর হাফিজিয়া মাদরাসায় শিক্ষক মিলনের অপকর্ম

একাধিক শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ : মামলাসহ পুলিশে সোপর্দ

 

দর্শনা অফিস: দর্শনা আনোয়ারপুর হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক মিলনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। দর্শনা আনোয়ারপুর জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠার পরপরই প্রতিষ্ঠিত হয় হাফিজিয়া মাদরাসা। এ মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কম নয়।

জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কুতুবপুর মাঝপাড়ার আব্দুলের ছেলে মাহবুব হাসান মিলন দর্শনা আনোয়ারপুর হাফিজিয়া মাদরাসায় ৩ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন। মাদরাসার হেফজ বিভাগে একাধিক ছাত্রের অভিযোগে জানা গেছে শিক্ষক মিলনের অপকর্মের কাহিনী। শুরু থেকেই মিলন মাদরাসার বেশ কয়েকজন ছাত্রকে গভীর রাতে ফুঁসলিয়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বলাৎকার করলেও লোকলজ্জার ভয়ে কেউ মুখ খোলেনি। ফলে তার অপকর্ম চলতেই থাকে। গতপরশু মাদরাসার ওই ছাত্র তিন ছাত্র মুখ খুললো। ছাত্রদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিভাবকরা ফুঁসে উঠেছেন। মিলন শুধু এ তিন ছাত্রের সাথেই নয় মাদরাসার প্রায় ১২-১৩ জন ছাত্রের সাথে এ ধরনের অপকর্ম করার কারণে অনেকেই মাদরাসা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। মিলনের অপকর্মের অভিযোগ পেয়ে মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদ গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত টানা বৈঠকেও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত বাইরে অপেক্ষমাণ অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ ও বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাওয়ায় শেষ রক্ষা হলো না অভিযুক্ত শিক্ষক মিলনের। অবেশেষে মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত মিলনকে দর্শনা আইসি পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় দামুড়হুদা হাউলী ইউনিয়নের বড়দুধপাতিলা গ্রামের এক ছাত্রের পিতা বাদী হয়ে মিলনের বিরুদ্ধে গতকাল দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিভাবকরা দাবি তুলে বলেছেন, লম্পট মিলনের কঠোর শাস্তি না হলে মাদরাসায় এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটবে।