ড্রেনে পড়ে তিনদিন ধরে হামলানো গাভী উদ্ধার

 

চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে দিন রাত রাখালছাড়া চরে বেড়নো গরু নিয়ে বিরূপ মন্তব্য

স্টাফ রিপোর্টার: রাতে ও দিনে সমানে রাজপথ চরে বেড়ায় বেশ কিছু গরু। বেওয়ারিশের মতো দিব্যি চরে বেড়ানো একটি গাভিন গাভী অরক্ষিত পায়নিষ্কাষনের নালায় পড়ে তিনদিন ধরে হাম্বা হাম্বা করে হামলানোর পর অবশেষে উদ্ধার হয়েছে।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা কলেজরোড সংলগ্ন হাসপাতাল সড়কের ড্রেন থেকে গাভীটি উদ্ধার করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দক্ষতার সাথে গাভীটি উদ্ধার করেন। তিনদিন ধরে হামলানো গরুর পাশে তেমন কাউকে বসে হা হুতাস করতে দেখা না গেলেও গরুটি উদ্ধারের সময় অবশ্য গোয়ালের পরিচয় পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে পান্না সিনেমাহলের অদূরবর্তী অরক্ষিত ড্রেনে পড়ে যাওয়া গাভীটি কোটপাড়ার লিটন মল্লিকের বলে দাবি করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা পৌরশহরের প্রধান প্রধান সড়ক সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেই রাত দিন সমানে রাখাল ছাড়াই চরে বেড়ানো গরু নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন। তারা বলেছেন, রাস্তায় শুয়ে জাবর কাটার কারণে বহু ভারী যানবহনের চালককেও জেরবার হতে হয়। মাঝে মাঝে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কাও দেখা দেয়। তখন গরুগুলোর মালিককে যে ভাসায় গালি দেয় চালকসহ প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ কেউ তা ওইসব গরুর গোয়ালী বা গোয়ালিনীর ওইভাবে গরু পালনের খায়েস মেটার কথা। ভাগ্যিস সেসব কটূক্তি ওইসব গোয়ালা বা গোয়ালিনীর কান পর্যন্ত পৌছুয় না।

চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে ছেড়েদিয়ে গরু পালনকারী গোয়ালা বা গোয়ালিনী ঠিক কতোজন তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। তবে গরুর সংখ্যা বিশ-পঁচিশের কম নয়। যার অধিকাংশেরই রাতে দেখা মেলে বড়বাজার শহীদ হাসান চত্বর এলাকায়। অবাক হলেও সত্য যে, এদের নাদে কালো রাজপথ পিচ্ছিলই হয়ে থাকে না, ওদের অনড় অবস্থানের কারণে রাতে দুর্ঘটনায় প্রাণহানীর সংখ্যা বাড়ে। অবাক হলেও সত্য যে, রাতে চলা ওইসব গরুর মধ্যে কিছু আছে যাদের কাগজ খেতেও দেখা যায়। রাখালছাড়া কাগজ খেকো এসব গরু হাতে গোনা কয়েকজন পালন করেন। সড়কের দশা দেখে প্রশ্ন তুলে অনেকেই বলেন, ওনাদের আক্কেল উঠবে কবে? পক্ষান্তরে কেউ কেউ অবশ্য বলেছেন, যেভাবেই পালন করা হক গাভী, ওতে কিছুটা হলেও তো দুধের ঘাটতি মেলে না-কি!