ডাউকি গ্রামে তরকারির সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে রঙ্গলীলা করার সময় কপোত-কপোতী আটক

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: কৌশলে তরকারির সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে ঘুম পাড়িয়ে সেই বিছানায় দু সন্তানের জনক প্রেমিককে নিয়ে রঙ্গলীলা করার সময় প্রতিবেশীর হাতে ধরা পড়েছে দু সন্তানের জননী আলপনা খাতুন। ঘটনাটি ঘটেছে আলমডাঙ্গার ডাউকি গ্রামে। এ নিয়ে গ্রামে সালিস বৈঠক শেষে দুজনই অজানার উদ্দেশে পাড়ি জমিয়েছে।

সালিস বৈঠকে উপস্থিত গ্রামবাসীসূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার ডাউকি গ্রামের দিনমজুর বুদো সর্দ্দারের স্ত্রী দু সন্তানের জননী আলপনা খাতুনের (৩০) সাথে প্রতিবেশী মিনা মুন্সির ছেলে দু সন্তানের জনক আমিরুল ইসলাম (৩৮) পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত শনিবার রাতে প্রেমিক আমিরুল প্রেমিকার ঘরে প্রবেশ করার কিছুক্ষণ পর পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা প্রতিবেশীরা সেই ঘরের দরজায় শেকল তুলে দেয়। সকালে প্রেমিক ও স্বামীসহ আলপনা খাতুনকে বের করে সালিস বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সালিসে আল্পনার স্বামী তার স্ত্রীর সাথে আমিরুলের রঙ্গলীলার বিষয়টি কোনো দিন বুঝতে পারেননি বলে জানান। তার অস্বাভাবিক ঘুমের বিষয়টিও তিনি সকলকে খুলে বলেন। এ সময় সালিসকারীদের চাপের মুখে সব কিছু স্বীকার করে আলপনা খাতুন। আলপনা খাতুন জানায়, তার পরকীয়া প্রেমিক আমিরুল ঘুমের ওষুধ কিনে এনে তার হাতে দিতো। সে প্রতিদিন ৫টি করে ঘুমের ওষুধ তরকারির মধ্যে মিশিয়ে তার স্বামীকে খাওয়াতো। রাতে তার স্বামী গভীর ঘুমে অচেতন থাকে। ওষুধ মেশানো তরকারি খেয়ে শুয়ে পড়া মাত্র স্বামী বুদো সর্দ্দার ঘুমে অচেতন হয়ে যেতো। সারারাত মৃত মানুষের মতো পড়ে থাকতো। আমিরুলের জন্য দরজা খোলা রাখতো আল্পনা খাতুন। গভীর রাতে সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে আল্পনার ঘরে ঢুকতো আমিরুল। ঘুমে অচেতন স্বামীর পাশেই সে পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে সারারাত রঙ্গলীলায় মত্ত থাকতো। ভোরে প্রেমিক আমিরুল অভিসার শেষে বাড়ি ফিরতো। আল্পনা খাতুনের সালিস বৈঠকে অকপটে এমন স্বীকারোক্তি শুনে উপস্থিত গ্রামবাসীরা তাজ্জব বনে যায়। সকলে ঘৃণায় ছি! ছি! করে। এমন নির্লজ্জ বেহায়াপনার কথা জেনে পরকীয়া জুটির কারও পরিবার আর তাদের ঘরে ঢুকতে দেয়নি। পরে আল্পনা-আমিরুল পরকীয়া জুটি অজানার উদ্দেশে গ্রাম ছেড়েছে বলে গ্রামবাসীর অনেকে জানিয়েছে।