টেন্ডুলকার-রেখার রাজ্যসভার সদস্যপদ বাতিলের দাবি

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: সেলিব্রেটি হলে সাত খুন মাপ হওয়ার দিন হয়তো শেষ হতে চলেছে। গতবৃহস্পতিবার দাবি ওঠে অভিনেতা সাইফ আলী খানের পদ্মশ্রী খেতাব কেড়ে নেয়ার।কারণ, তিনি মারপিট করেছিলেন এবং খেতাব পাওয়ার আগেই তার বিরুদ্ধে একাধিকফৌজদারি অভিযোগ ছিলো।

এদিকে গতকাল শুক্রবার রাজ্যসভায়সাবেক ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার ও অভিনেত্রী রেখার বিরুদ্ধে সরব হলেনরাজ্যসভার বহু সদস্য। সিপিআইর সদস্য পি রাজীব এই দুই মনোনীত সদস্যেরক্রমাগত অনুপস্থিতির প্রসঙ্গে সদস্য থাকার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।তবে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পি জে কুরিয়েন বলেন, দু সদস্য একটানাঅনুপস্থিত থাকলেও তাদের কেউই টানা ৬০ দিনের সময়সীমা পেরোননি। ফলে বিধিঅনুযায়ী তাদের সদস্যপদ খারিজের দাবি বিবেচনা করার প্রশ্ন ওঠে না।

কুরিয়েনবলেন, টেন্ডুলকার একটানা ৪০ দিন এবং রেখা তার চেয়ে কিছুদিন কম সভায় আসছেননা। তিনি জানান, শচীন এযাবত তিনদিন সভায় এসেছেন, রেখা সাত দিন। সভারনিয়ম অনুযায়ী কেউ টানা ৬০ দিন না জানিয়ে অনুপস্থিত থাকলে তার সদস্যপদখারিজ করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে তার প্রয়োজন এখনো আসেনি। রাজ্যসভারসদস্যরা অবশ্য এই অনুপস্থিতি নিয়ে বেশ সরব।

কবি, গীতিকার ও স্ক্রিপ্ট লেখক জাভেদ আখতার বলেছেন, রাজ্যসভার সদস্যপদ বাড়িতে সাজিয়ে রাখার মতো কোনো ট্রফি নয়।অভিনেতাপরেশ রাওয়াল মনে করেন, তাদের আরও সক্রিয় হওয়া দরকার। কংগ্রেস সদস্য রাজীবশুক্ল জানান, দুজনেই শিগগিরই হাজিরা দেবেন।কংগ্রেসের তাগিদেই শচীন ওরেখাকে রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য করা হয়েছিলো।