টুকিটাকি : বাংলাদেশকে নতুন যুদ্ধক্ষেত্র ঘোষণা আইএস’র : দ্য হিন্দু

বাংলাদেশকে নতুন যুদ্ধক্ষেত্র ঘোষণা আইএস’র : দ্য হিন্দু
মাথাভাঙ্গা মনিটর: বাংলাদেশকে নতুন যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা করলো ইসলামিক স্টেট। তাদের নিজস্ব প্রোপাগান্ডা ম্যাগাজিন দাবিক বাংলাদেশকে বেঙ্গল উল্লেখ করে তারা জানায়, কৌশলগত কারণে বাংলাদেশকে নতুন যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করছে তারা। দ্য হিন্দু পত্রিকা দাবিক ম্যাগাজিনের বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশে নতুন করে আক্রমণ এবং কার্যক্রম সম্প্রসারণের জন্য কাজ করছে আইএস নামক জঙ্গি সংগঠনটি। দাবিক ম্যাগাজিনে এই বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলে জানানো হয় দ্য হিন্দু’র প্রতিবেদনে। দাবিক ম্যাগাজিনে দি রিভাইভাল অফ জিহাদ ইন বেঙ্গল শীর্ষক এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বাংলাদেশে আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে আইএস। এরই মধ্যে বেশ কিছু আক্রমণও চালানো হয়েছে। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ আওয়ামী লীগ সরকার বিষয়টি স্বীকার করছে না। উল্টো তারা অন্য কারো ওপর বিষয়টির দায় চাপিয়ে দিচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত জোটকে ধর্মভ্রষ্ট জোট হিসেবে আখ্যায়িত করেছে আইএস। দাবিক ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের এর আগে যেই সরকার ছিলো, তারা মূলত ধর্মভ্রষ্ট একটি জোট। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলাম বোকার মতো মনে করছে কয়েকজন ন্যায়নিষ্ঠ পণ্ডিত শহীদ হলে তৌহিদ, জিহাদ এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠার পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জামাতুল মুজাহিদিনকে কোরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক সত্য এক জিহাদি সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সেখানে বলা হয়, বেঙ্গলে খিলাফতের অধীনে থাকা কিছু যোদ্ধা ঢাকার গুলশানে চেজার তাভেল্লাকে হত্যা করে। এর কয়েকদিন বাদেই আরেকটি দল রংপুরে জাপানি এক নাগরিককে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়, ক্রুসেডে বিশ্বাসী জাতির লোকেরা যেন মুসলিম একটি দেশে অবাধে বিচরণ করতে না পারে এবং সর্বদা ভয়ে থাকে সে কারণেই পরপর এমন দুটি আক্রমণ চালানো হয়। এই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ইউরোপের কলোনিভুক্ত দেশ হওয়ায় এবং হিন্দু সংস্কৃতির কারণে বাংলাদেশে শিরিক ও বেদাত বেড়েছে। তাই সেখানে (বাংলাদেশে) ইসলামকে বলবৎ রাখতে আক্রমণ জারি রাখবে খিলাফাতের যোদ্ধারা।

সাকা-মুজাহিদের ফাঁসিতে মর্মাহত পাকিস্তান
মাথাভাঙ্গা মনিটর: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় পাকিস্তান গভীরভাবে মর্মাহত। এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একথা জানিয়েছে। পাকিস্তানের প্রভাবশালী দৈনিক ডনের এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে সাকা ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরকে দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যায়িত করা হয়। বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র কাজী খলীলুল্লাহ বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগ এবং মানসিক যন্ত্রণার সাথে লক্ষ্য করছি- দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশের দু রাজনীতিকের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। ত্রুটিপূর্ণ এই বিচারের রায় কার্যকরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়াও আমরা লক্ষ্য করেছি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এ ইস্যুতে ১৯৭৪ সালের ৯ এপ্রিল বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিলো, সেই আলোকে আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের দিকে এগিয়ে যাবো। ১৯৭১ সালের ঘটনার পর এ চুক্তি ছিলো পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

মিয়ানমারে পান্না খনিতে ভূমিধসে নিহত প্রায় ১শ
মাথাভাঙ্গা মনিটর: উত্তর মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যে একটি পান্না খনিতে ভূমিধসের পর অন্তত ৯৯টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা। গতকাল রোববার এক উদ্ধারকারী কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আরও ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে। এ দিন ভোররাত ৩টার দিকে কাচিনের হপকান্ত এলাকার একটি খনিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খনির আবর্জনার স্তূপে ঘটা ওই ভূমিধসের কারণ পরিষ্কার নয় বলে এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানা গেছে। ভূমিধসে আবর্জনার স্তূপের পাশের অনেকগুলো কুঁড়েঘর চাপা পড়ে। এসব ঘরে খনিকর্মীরা ঘুমিয়ে ছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতদের অনেকেই আবর্জনার স্তূপে পান্নার পরিত্যক্ত খণ্ডাংশ খুঁজে সেগুলো বিক্রি করে জীবন চালাতেন। হপকান্ত টাউনশিপ দমকলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা টেলিফোনে বলেন, ধসে পড়া আবর্জনার ভিতর থেকে এ পর্যন্ত ৯৯ জনের লাশ উদ্ধার করেছি। আর নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছি। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ঘটনাস্থল কাচিন রাজ্যের ওই অংশটির যোগাযোগ ব্যবস্থা অপ্রতুল হওয়ায় বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। মিয়ানমারের এই রাজ্যটিতে বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট কিছু পান্না পাওয়া যায়, তবে এখানে প্রায়ই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।

পাতাল রেলে সহায়তা দিতে আগ্রহী জাপান
মাথাভাঙ্গা মনিটর: রাজধানীতে পাতাল রেল নির্মাণে অর্থ সহায়তা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান। পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সাথে টোকিওতে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে জাপান এ আগ্রহ প্রকাশ করে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানায়। মুস্তফা কামালের বরাত দিয়ে মন্ত্রণালয় জানায়, রাজধানীর যানজট নিরসনে মেট্রোরেল ও পাতাল রেল নির্মাণে মন্ত্রীর প্রস্তাবকে জাপান খুবই ইতিবাচক, বাস্তবধর্মী ও সময়োচিত প্রস্তাব হিসেবে উল্লেখ করেছে। পাতাল রেলের বিষয়ে একটি চূড়ান্ত প্রস্তাবনা পেশ করার জন্য অনুরোধ করেছে জাপান। মুস্তফা কামাল বলেন, রাজধানীর যানজট নিরসনে পাতাল রেল, মেট্রোরেল এবং ঢাকা-চট্রগ্রাম এক্সপ্রেস রেল নির্মাণে জাপান সরকারের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। জাপান এ বিষয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগের গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে।