ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম মাস্টার আর নেই

মহেশপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম মাস্টার আর আমাদের মাঝে নেই। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাষ ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহে…….রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৮ বছর। তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, ১ কণ্যাসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মমিনুর রহমান জানান, শহিদুল ইসলাম ঢাকার পান্থপথে গ্যাস্ট লিভার হাসপাতালের ১০২৮ নম্বর রুমে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভারজনিত রোগে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাষ ত্যাগ করেন। এ সময় তার স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তার মরদেহ প্রথমে বনানীর নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে। পরে মহেশপুরের ভালাইপুর গ্রামে নিয়ে আসা হবে।

১৯৯০ সালে এরশাদ সরকার ক্ষমতা ত্যাগের পর বিএনপি থেকে প্রথম তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি মোট ৪ বার ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর) আসনের এমপি নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি এরশাদ সরকারের আমলে ১৯৮৫ সালে উপজেলা চেয়ারম্যানে পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। তিনি ১৯৫০ সালে ভালাইপুর গ্রামের মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবার নাম রাহাতুল্লাহ সরদার এবং মায়ের নাম আলফাতুনেচ্ছা বেগম। ১৯৭৪ সালের ১ নভেম্বর তিনি মহেশপুর হাই স্কুলে ক্রীড়া শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি ভালাইপুর প্রাইমারি স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন, মহেশপুর হাই স্কুল থেকে এসএসসি,  এমএম কলেজ থেকে এইচএসসি ও বিএ পাস করেন এবং ঢাকা মোহাম্মদপুর কারিগরি কলেজ থেকে তিনি বিপিএড পাস করেন। এমপি থাকাকালে তার নিজ নামে ভৈরবায় একটি কলেজ, শ্যামবাজারে তার মায়ের নামে আলফাতুননেচ্ছা কলেজ, ভালাইপুর গ্রামে বাবার নামে রাহাতুল্লাহ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ অনেক স্কুল-কলেজ স্থাপনা করেছেন। তার আমলে মহেশপুর-কোটচাঁদপুরে অনেক রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন হয়েছে। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোমিনুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. এমএ আব্দুল আহাদ, ফতেপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম ফারুক, বাঁশবাড়িয়া ইউপির সভাপতি আব্দুল লতিফ, আক্তারুল ইসলাম, আব্দুর রহিম প্রমুখ।