ঝিনাইদহ সাধুহাটিতে কৃষি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি

চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো মাটি কাটা

ডাকবাংলা প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি মাঠ থেকে ইটভাটা মালিক কৃষি জমি সংরক্ষণ আইনের তোয়াক্কা না করে আবাদি জমির মাটি কেটে বিক্রি করছেন। এতে করে মাঠের কৃষি জমি কমছে আর অন্যদিকে বর্ষার সময় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পাসের জমির কৃষকরা পড়ছেন বিপদে। কৃষকরা সমাজ প্রতিদের কাছে বারবার বিচার চেয়ে ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে।

গ্রামবাসী জানান, ইউনিয়ন বোর্ডের রাস্তা ভেঙে ধুলো বালিতে এলাকা অন্ধকার হয়ে পড়ছে যার ফলে এলাকায় বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। জমির মালিক মহাশিন ও সাজেদুল শহরে বাস করার কারণে গ্রামের মানুষের কোনো কথাই মানতে চান না। এই জমির মাটি একটি ইটের ভাটার মালিকের কাছে ৫ লাখ টাকার বিনিময় বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। আর সে কারণে ইটের ভাটা মালিক মাটি কাটছে কারো তোয়াক্কা না করে। কৃষক মনজের আলী মোস্তাফা, আনারুল, হাবিবার, সাহেব, গনজেরসহ আরও অনেক কৃষক ঝিনাইদহ নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে কৃষি জমি সংরক্ষণ আইনের সমাধান ছেয়েছেন।

এদিকে ১ নং সাধুহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দীন জানান, আমি খুব চিন্তীত কারণ ইটভাটার ট্রাক গ্রামের মধ্যদিয়ে চলাচল করায় রাস্তা ভেঙে চলাচলের অজগ্য হয়ে পড়ছে। অন্যদিকে যেকোনো সময় ঘোটতে পারে দুর্ঘটনা। কৃষি জমিতে মাটি কাটার ফলে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। যেমন বর্ষার সময় জলাবদ্ধাতার সৃষ্টি হবে। এবিষয় জমির মালিক ও ভাটা মালিককে বলেছি। তারা আমার কোনো কথায় শুনতে চাইলো যার কারণে নিজেই গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছি। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে জেলা প্রশাসকের কাছে অনুরোধ করবো বিষয়টি দেখার জন্য।

এদিকে তাহাজ উদ্দীন জানান, পুকুর কাটার নামে মাটি বিক্রি করছে ইট ভাটার কাছে। অতচ মাঠের ভাঙন ঠেকাবে কে? কৃষি বিভাগের কৃষি জমি রক্ষায় কোনো ভূমিকা না থাকায় আমরা মাঠের কৃষক হতাস হয়ে পড়েছি। উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তা মিলন ঘোষ এই প্রতিবেদকের জানান, কৃষি জমির মাটি কেটে ইটের ভাটায় বিক্রির খবর ডিসি স্যারের কাছে আমরা জানিয়েছি প্রজনে আবার স্যারকে স্মরণ করিয়ে দেবো। কৃষি জমি সংরক্ষণে আমাদের আন্তরিকতার অভার নেই। সরে জমিনে ঘুরে দেখা গেছে, জমির মাটি কেটে নেয়ার কারণে মাঠের পর মাঠ ভাঙার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে কৃষি ভূমি আইনে এর ব্যবস্তা গ্রহণ করবে এমনটি আশা করছেন এলাকার মানুষ।