ঝিনাইদহে বিএনপির নেতাদের ওপর হামলা : গাড়ি ভাঙচুর, বহিষ্কার ১২

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সাথে জড়িত যুবদল, ছাত্রদলের স্থানীয় ১২ নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ৭টার দিকে উপজেলা শহরের নিমতলা বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
জেলা বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হরিণাকুণ্ডু উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ মজিদ বলেন, শুক্রবার রাতে কালীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থী আতিয়ার রহমানের পক্ষে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ প্রচারণা করার বিষয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে নির্বাচনী প্রচারণার পর ঝিনাইদহে ফেরার পথে নিমতলা বাসস্ট্যান্ডে তাদের বহন করা মাইক্রোবাসে হামলা চালানো হয়। এ সময় হামলাকারীরা ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে। এতে মাইক্রোবাসটির গ্লাস ভেঙে যায়। হামলায় জেলা নেতৃবৃন্দের কয়েকজন আহত হন। তিনি অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় বিএনপি নামধারী একটি গ্রুপ এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তিনি এ ঘটনার নেপথ্যের নায়ক হিসেবে কালীগঞ্জ বিএনপি নামধারী কথিত নেতা হামিদকে দায়ী করেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কালীগঞ্জ উপজেলা যুবদল, ছাত্রদলের ১২ নেতাকমীকে দল থেকে বহিষ্কার ও কালীগঞ্জ যুবদলের সম্পাদকসহ আরো দুইজনকে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে বলে জানান জেলা বিএনপির এই নেতা। বিষয়টি নিয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, হামিদ বিএনপির কেউ নন। ধানের শীষ প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রতিপক্ষের ইন্ধনে জেলা নেতৃবৃন্দের ওপর ন্যাক্কারজনক এ হামলা চালিয়েছে। তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে কালীগঞ্জ পৌর নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে বিএনপির প্রার্থী আতিয়ার রহমানের পক্ষে প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানান। সূত্র মতে, মাইক্রোবাসটিতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাড. এসএম মশিউর রহমান, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীমসহ ১২ নেতা হামলার শিকার হন। তবে অভিযুক্ত আব্দুল হামিদ এ ঘটনার সাথে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই জানিয়ে বলেন, সম্প্রতি যুবদল ও ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার কারণে ঘটনটি ঘটে থাকতে পারে। কালীগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন এ হামলার ঘটনা জানেন না বলে জানান।