ঝিনাইদহে ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের জানাজায় মানুষের ঢল

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষক খন্দকার ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের জানাজা বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লাখো জনতা এ জানাজায় অংশ নেন। তার জানাজায় ইমামতি করেন সৌদি আরবের রিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মরহুমের একমাত্র ছেলে ওসামা বিন খন্দকার। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন মরহুমের শ্যালক মাওলানা আব্দুল হাই মিশকাত সিদ্দিকী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুল হাকিম, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মাহবুল আলম তালুকদার, ঝিনাইদহ পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু প্রমুখ।

প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা গেছে, বিকেল হতে না হতে ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মানুষের ঢল নামে। যানবাহন যোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন মরহুমের ছাত্র অনুরাগী ও ভক্ত অনুসারীরা। প্রিয় মানুষটিকে শেষ বারের মতো এক নজর দেখার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন তারা। লাশবাহী একটি গাড়িতে রাখা হয় তার মরদেহ। মাগরিবের নামাজ শেষে জানাজার নামাজ পাড়ানো হয়। এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার নিজ হাতে গড়া জেলা শহরের গোবিন্দপুর এলাকায় আল ফারুক একাডেমিতে। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানেই তাকে সমাহিত করা হয়। গত বুধবার মাগুরার সদর উপজেলার পারনান্দুয়াল ৩ নাম্বার ব্রিজ এলাকায় কাভার্ড ভ্যানের সাথে প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হন তিনি ও তার ড্রাইভার। আহত হন বাহাউদ্দীন ও আসাদ নামে তার দুই সহকর্মী। মুহূর্তে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। ভক্ত অনুরাগীরা ছুটে যান মাগুরা সদর হাসপাতালে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নরহরিদ্রা গ্রামের মৃত আনোয়ারুজ্জামান মাস্টারের ছেলে তিনি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাড়াও তিনি ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও বহু ইসলামী গ্রন্থের লেখক। ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর সৌদি আরবের রিয়াদ ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা করেন। পরে তিনি ইসলামী ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক ছেলে ও ৩ কন্যার জনক। তিনি ফুরফুরা শরীফের বড় হুজুর কেবলার বড় সাহেবজাদা ঢাকার দারুসসালামের আনসার সিদ্দিকীর জামাতা। তিনি এনটিভি ও ভারতের পিস টিভির সাথে যুক্ত ছিলেন। আগত মুসল্লিদের ভাষ্যমতে, ঝিনাইদহে এতো বড় জানাজা আর হয়নি।