ঝিনাইদহে কালীগঞ্জ পৌর নির্বাচন : ১৯টি ভোটকেন্দ্রের সবগুলোই ঝুঁকিপূ

র্ণ

কালীগঞ্জ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের আর মাত্র দুই দিন বাকি। এই পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৩৭ হাজার ১০৩ জন ভোটার ভোটধিকার প্রয়োগ করবেন কাল রোববার। সর্বশেষ ২০১১ সালে ১২ জানুয়ারি এই পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।

উপজেলা নির্বাচন অফিসসূত্রে জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে কালীগঞ্জ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৩৭ হাজার ১০৩  জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ৬০৩ জন ও নারী ভোটার ১৮ হাজার ৪৭৩ জন। ১৯টি ভোটকেন্দ্রের সবকয়টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ভুষণ হাইস্কুল, ফয়লা, আড়পাড়া শিবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চাঁচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দুটি বেশি ঝুঁকিতে।

আসন্ন নির্বাচনে পাঁচ মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মকছেদ আলী, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আতিয়ার রহমান, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) মাসুদুর রহমান মন্টু, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) আশরাফুজ্জামান লাল ও বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের নুরুল ইসলাম।

১৫ দশমিক ৮৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই পৌরসভায় এ পর্যন্ত চারবার নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয়বার পৌর চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন আব্দুল মান্নান, তৃতীয়বার বিএনপি সমর্থিত আলহাজ মাহবুবার রহমান, চতুর্থবার আওয়ামী লীগ সমর্থিত মোস্তাফিজুর রহমান বিজু। স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মাসুদুর রহমান মন্টু জানান, তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী নন। তিনি দল থেকে মনোনয়ন চাননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে তিনি জয়ী হবেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মকছেদ আলী জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এবং জনগণের ভোটে নৌকা প্রতীক জয়লাভ করবে।

এদিকে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিয়ার রহমান অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে প্রচারণায় অনেক বাধার সম্মুখিন হয়েছি। ধানের শীষ প্রতীকের পোলিং এজেন্টদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। তবে ভোট যদি সুষ্ঠু হয় তাহলে জয়লাভ করবো।

রিটার্নিং অফিসার জেলা নির্বাচন অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ২০ মার্চ কালীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এখানে মোট ১৯টি ভোটকেন্দ্রের সব কয়টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিটি ওয়ার্ডে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করা হবে। ইতোমধ্যে পোলিং অফিসার ও প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, শুক্রবার রাত ৮টা থেকে ভোটগ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত পৌরসভার ভোটার ছাড়া সবাইকে এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে প্রতিটি ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। প্রতি ওয়ার্ডে পুলিশের একটি মোবাইল টিম ও আটজন পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেলে টহল দেবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি, ৱ্যাব ও পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।