ঝিনাইদহে এএসআইসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ঝিনাইদহ সদর থানার এএসআই আরিফ হোসেনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঝিনাইদহ আমলী আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা জাহাঙ্গীর এক আদেশে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আসমাউল হুসাইন ও শহরের পাগলা কানাই এলাকার রেহেনা খাতুন। আদালত সূত্রে জানা যায়, হরিণাকুণ্ড উপজেলার শাখারীদহ গ্রামের আশির উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা খাতুনের কাছ থেকে দু-দফায় ৫৫ হাজার টাকা ধার নেয় সদর উপজেলার সাবেক বিন্নি গ্রামের দেলোয়ার রহমানের স্ত্রী রেহেনা খাতুন। দীর্ঘদিন ধরে টাকা পরিশোধ না করে রেহানা খাতুন তাদেরকে সময়ক্ষেপণ করে। পরে টাকা ধার নেয়ার কথা অস্বীকার করে।

পরবর্তীতে রেহানা খাতুন টাকা দেবে বলে ১১ সেপ্টেম্বর মোবাইলফোনের মাধ্যমে ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই মোড়ে আসতে বলে পাওনাদার হাসিনা খাতুনের ছেলে উজ্জ্বল হোসেনকে। সে সময় ঝিনাইদহ সদর থানার এএসআই আরিফ হোসেনকে দিয়ে অবৈধভাবে হাসিনা খাতুনের ছেলে উজ্জ্বল হোসেনকে গ্রেফতার করায়। এএসআই আরিফ হোসেন উজ্জ্বল হোসেনকে হাতে হাতকড়া পরিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে থাকা আসমাউল হুসাইন নামে আরো একজন আরিফ হোসেনকে এ কাজে সহযোগিতা করে। পরে থানা থেকে জোরপূর্বক শাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে উজ্জ্বল হোসেনকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় উজ্জ্বল হোসেনের পিতা আশির উদ্দিন বাদী হয়ে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিচারক গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৪টার দিকে এএসআই আরিফ হোসেন, রেহানা খাতুন ও আসমা-উল-হুসাইন এর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।