ঝিনাইদহে ঈদ উপলক্ষে জাকজমক পূর্ণ গরুরহাট

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: সাধারণ ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের পদচারণায় মুখরিত হতে শুরু করেছে ঝিনাইদহের গ্রামগঞ্জের পশুর হাটগুলো। তবে হাট জমে উঠলেও দাম বেশি বলে জানা গেছে।

জেলা প্রশাসনের অফিসসূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় এবারো ২০টির বেশি পশুর হাট বসবে। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসসূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহে এ বছর ১৮ হাজার ৮৪৫ পরিবার ছাগল, গরু, ভেডা, গাভী ও মহিষ লালন-পালনের সাথে জড়িত আছে।

এবার কোরবানি যোগ্য ছাগল রযেছে ২৭ হাজার ৯৮৬, গরু ৩১ হাজার ৭৪৩, গাভী ৪ হাজার ৫৬১, ভেড়া ১ হাজার ১৩৯ এবং মহিষ ১৬৮টি। জেলায় মোট খামারের সংখ্যা ৯ হাজার ০৮৩টি। সবচেয়ে বেশি খামার এবং পশু রয়েছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জেলার ভাটই, গাড়াগঞ্জ, শৈলকূপা, খালিশপুর, এলাঙ্গী, কালীগঞ্জে বারোবাজার, হরিণাকুণ্ডু, ডাকবাংলা, মধুপুর, গোয়ালপাডা, মধুহাটি এবং সাধুহাটির গো-বাজারগুলোই সবচেয়ে বড় পশুর হাট।

আরও দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মরসুমি ব্যবসায়ীদের ভিড়ে জমজমাট এ পশু হাটগুলো। দেখে শুনে মোটাতাজা গরু কিনতে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন তারা। হাটে আগত কয়েকজন ক্রেতা জানান, দাম এবার অত্যন্ত বেশি। তবে পশু হাটের সব থেকে ভালো দিক হচ্ছে ঝিনাইদহের গরুগুলো স্বাভাবিকভাবেই মোটাতাজা করা হয়েছে।

ঝিনাইদহ ছাগল হাটের ব্যাপারী সুমন বিশ্বাস জানান, প্রতি হাটেই ২ থেকে ৩ হাজার গরু ছাগল বিক্রি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ ও সীমান্তে কড়া নজরদারি থাকায় এ বছর ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন ঝিনাইদহের খামারীরা।

ঝিনাইদহের এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এরই মধ্যে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এসপি মিজানুর রহমান জেলার সকল হাট ইজারাদরদের সাথে বৈঠকও করেছেন। পশু হাটে নিয়ে আসা থেকে শুরু করে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তা দেবে ঝিনাইদহ পুলিশ।