ঝিনাইদহের মামুনশিয়া গ্রামের রকির বাইসাইকেল উদ্ধার

v?

বাজারগোপালপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মামুনশিয়া গ্রামের যুবক রাকিবুল ইসলাম রকি সত্যিই কি ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছে? না তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে? তার ব্যবহৃত বাইসাইকেলটি উদ্ধারের পর নতুন করে আলোচনায় এসেছে রকি। দানা বেঁ ধে উঠেছে রহস্য। রকির মা ফিরোজা খাতুন গতকাল দুপুরে বাইসাইকেলটি নিহত রাকিবের বলে নিশ্চিত করেন। বাজারগোপালপুর ক্যাম্পের সহকারী এসআই উত্তম কুমার জানান, গত সোমবার ডুগডুগি বাজরে পড়ে থাকা অবস্থায় বাইসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। বাইসাইকেলটি ডুগডুগি বাজারে কিভাবে এলো তা নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে।

গত ১৪ অক্টোবর বিকেলে রাকিবুল ইসলাম রকি বাইসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে চুয়াডাঙ্গা-মোমিনপুর রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে রেললাইনের পাশ থেকে রকির দ্বিখণ্ডিত লাশ পাওয়া যায়। নিহতের পরিবারের দাবি ঝিনাইদহ থেকে চুয়াডাঙ্গায় এসে সে ট্রেনে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঘটনাটি ভিন্নদিকে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। নিহতের মা ফিরোজা খাতুন জানান, গত ১৪ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে রকি তার ব্যবহৃত বাইসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে ফিরে না এলে নিকটজন ও বন্ধুদের নিকট খোঁজখবর নেয়া হয়। পরদিন দুপুরের দিকে রাকিবের ফোন থেকে একজন জানান, চুয়াডাঙ্গায় টেনে কাটা ১৪-১৫ বছর বয়সের একজনের লাশ পড়ে আছে। পরে খবর পাই লাশটি আমার ছেলে রাকিবের। তিনি আরো বলেন, অনেকেই বলছে রকি নাকি আমার ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। রকি রাগ বা অভিমান করে বাড়ি থেকে বের হয়নি। তাছাড়া আত্মহত্যার মত কোন ঘটনাই ঘটেনি। রাকিবকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে রেললাইনের ওপর ফেলে রেখেছে। আমার ছেলের হত্যাকারীদের শাস্তি চাই।