ঝিনাইদহের কৃতী ফুটবলার সাইফুল ইসলাম রিজন এখন চায়ের দোকানদার

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ মহিলা কলেজ পাড়ার মনছুরের ছেলে নাম সাইফুল ইসলাম রিজন। ২০১৭ সালের ঝিনাইদহ সরকারি বালক বিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে এসএসসি পরীক্ষার্থী। গত ২০১৩ সালে বাংলাদেশের হয়ে অনুর্ধ্ব ১৩ দলের হলে ফুটবল খেলতে গিয়েছিলো মালায়েশিয়া। বাংলাদেশ টিম থাইল্যান্ডের সাথে খেলে রানার্স আপ হয়। বাবা রাস্তার পাশে ফুটপাতের চা বিক্রেতা। নিজে চা বিক্রেতা হলেও ছেলের সাধ পূর্ণ করতে ব্যস্ত। কিন্তু সাধ আছে সাধ্য নেই। বাবা মনছুর ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন  দেখাছিলেন ছেলে দেশের অনেক নাম করা খেলোয়াড় হবে। তাই চা বিক্রয় করে সংসার চালালেও ছেলের লেখাপাড়া ও খেলাধুলার জন্য বরাবর উৎস প্রদান করে এসেছে। নিজের কাজের যতোই কষ্ট হোক না কেন রিজনের খেলা ধুলার অনুশীলনে  কোন বাঁধা প্রদান করেনি। ঝিনাইদহ ক্রীড়া সংস্থায় সহযোগিতায় বাংলাদেশ অনুরদ্ধ ১৩ টিমে চান্স পেতে বেশ কয়েক বার তাদের ঢাকা যেতে হয়েছে তার খরচের টাকা যুগিয়েছে চা বিক্রেতা মনছুর। এভাবেই ছেলেকে অনুপ্রেরণা যুগিছে। কিন্তু নিয়তির কাছে সকল চেষ্টা হার মানিয়ে গেছে। খেলা করতে গিয়ে বুকে বল লেগে প্রচ- আঘাত পায় রিপন। বুকে আঘাত পাওয়ার পর তাকে  খেলা করতে কষ্ট হয়। প্রয়োজন উন্নত চিকিৎসার। কিন্তু চা বিক্রেতা মনছুরের পক্ষে সম্ভব না। মালায়েশিয়া থেকে খেলা করে ফিরে আসার সময় মাত্র ৫ হাজার টাকা পায়েছিল রিজন। মনছুর আলীর আরও  ছেলে ১ মেয়ে আছে সংসার চালিয়ে ছেলের সাধ পূরণ করা সম্ভব না। তাই এখন রিজনকে বাবার সাথে চায়ের দোকানে কাজ করে লেখাপড়া করতে হয়। অর্থের অভাবে আস্তে আস্তে ঝরে পড়তে বসেছে একটি প্রতিভা। যে হয়ত সুযোগ ওপলে দেশের অনেক নামী ফুটবল ওেখালোয়াড় হতে পারত। অর্থের অভাবে একজন কৃতী ফুটবলার এখন চায়ের দোকানদার।